ইমরান খান, নিলফামারী প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবাধে অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলনের মহাযজ্ঞ চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে বিভিন্ন নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তীরবর্তী কৃষি জমিতে ভাঙ্গনের দেখে দিয়েছে। বালু উত্তোলনের তীরবর্তী স্থানের জমির মালিক কিছু বললেই ভয় - ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিয়ে তাদের থামিয়ে রাখা হচ্ছে।
ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে একাধিক স্থানে নদীর বালু উত্তোলন করতে দেখা গেছে। উপজেলার নাউতার ইউনিয়নের পশ্চিম সাজ্জান শসান ঘাট এলাকা থেকে একাধিক ট্রলি দিয়ে অবৈধভাবে বুড়ি তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন করতে দেখে গেছে। উপজেলা থেকে দূরবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থান হওয়ার প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে সহজেই বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দিচ্ছে একটি চক্র। বালু বিক্রির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
গয়াবাড়ী ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন এর মধ্যে অবস্থিত নাউতার নদী থেকে অবৈধভাবে ট্রলি দিয়ে বালু উত্তোলন করতে দেখে গেছে। এই নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে তীরবর্তী বেশকিছু কৃষি জমি ভেঙে নদীতে ধ্বসে পড়েছে। তাছাড়াও বালু উত্তোলন করে নিয়ে আসার সময় গাড়ি চাপের কারণে চলাচলের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে যানবাহন নিয়ে চলাচলে ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে এলাকাবাসী।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, যত্রতত্রভাবে বালু উত্তোলন করলে নদীর গতি পরিবর্তিত হয় এবং নদীর পাড় ভেঙে যায়। অর্থাৎ নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিরও ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়াও নদীতে অবস্থিত ব্রিজ বা কালভার্টের কাছাকাছি থেকে বালু উত্তোলনের ফলে এই সব স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ছে।
এছাড়াও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের মতিরবাজার সংলগ্ন কুমলাই নদীতে, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তার বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদী, খালিশা চাপানি ইউনিয়নের তালতলা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। তাছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বোমা মেশিন বসিয়েও বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র।
পশ্চিম সাজ্জান এলাকার বাসিন্দা বাবলু রায় বলেন, গত বছর আমার আধা বিঘা (১৫ শতাংশ) জমি নদীতে ভেঙ্গে গিয়েছে। এই বছর দুই বিঘা জমি ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে। বালু উত্তোলনের বিষয়ে তাদের কিছু বললে তারা বলে এইখান থেকে বালু উত্তোলন করলে নদীর দূর দিয়ে যাবে এই জায়গার ক্ষতি হবে না। গত বছর আমরা বালু উত্তোলন করতে বাধা দেই এইবার আবার তারা বালু তুলতেছে।
অবৈধ বালু উত্তোলনকারী সেলিমের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমদের কাছে কেও এখনো অভিযোগ দেয়নি অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।