হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, মারধর ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। তিন দশক আগে পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের পর এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার সাংবাদিকরা জানান, মামলার রায়ের পর পরই হট্টগোলকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় ঈশ্বরদী থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আক্তারসহ বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন।
আজ (বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর বেলা ১২টার দিকে হাইকোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে এ মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ব্রিফিংয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন সাংবাদিকরা।
হঠাৎ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের উপস্থিতিতে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী হট্টগোল শুরু করেন। এর প্রতিবাদ জানালে একপর্যায়ে উপস্থিত বিএনপি নেতারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় আহত হন এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার জাবেদ আক্তার। তাকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া হামলার সময় বৈশাখী টেলিভিশনের বুম ভাংচুরসহ মারধর করা হয় উপস্থিত আরো কয়েকজন সাংবাদিককে।
অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেবার পথে আহত জাবেদ আক্তার বলেন, ‘ঈশ্বরদীর এক বিএনপি নেতা হঠাৎ করে এক রিপোর্টারকে ধাক্কা মেরে বলে তোমরা কারা? তখন আমি কেবল প্রতিবাদ করে জিজ্ঞাস করেছিলাম আপনি কে? এটা বলার পরেই আমার মাথা, বুকে, পিটে এলোপাথাড়ি মারা হয়। এখন আমার বুকে ও মাথায় প্রচণ্ড ব্যাথা করছে।’
ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক ব্রিফিং বর্জনের পাশাপাশি, এনেক্স চত্বরের বসে পড়েন সাংবাদিকরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের চিহ্নিত করা দাবি জানান সুপ্রিম কোর্ট কর্মরত সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকই দুঃখপ্রকাশ করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।