অস্ট্রেলিয়া কোচের মুখের ভাষায় বলা হচ্ছে ‘প্রবলভাবে কম’। অজি কোচের এমন ভাষ্য তারই দলের অধিনায়ক এবং পেসার প্যাট কামিন্সকে নিয়ে। আর এই বক্তব্যের প্রেক্ষাপট আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। দুই সপ্তাহ পরেই শুরু হবে মিনি ওয়ার্ল্ডকাপ খ্যাত এই আসর। কিন্তু এই আসরে কামিন্সের না থাকার সম্ভাবনাই যেন প্রবল। একই রকমের সম্ভাবনা আছে আরেক পেসার জশ হ্যাজেলউডকে নিয়ে।
দ্বিতীয় সন্তানকে পৃথিবিতগে স্বাগত জানাতে এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে দূরে আছেন প্যাট কামিন্স। তবে সেই সঙ্গে নিজেও ভুগছেন ইনজুরিতে। বোর্ডার-গাভাসকার সিরিজে বাড়তি বোলিং চাপ নেওয়ার পর তার গোড়ালির ইনজুরি ধরা পড়ে। আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুই সপ্তাহ আগেও সেখান থেকে মেলেনি কোনো সুখবর। এখনো ভুগছেন কামিন্স।
এই চোটের কারণে তার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা শঙ্কায় ছিল আগে থেকেই। তারপরও তাকে অধিনায়ক করেই দল ঘোষণা করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ধারণা করা হয়েছিল হয়তো সেরে উঠবেন টুর্নামেন্টের আগে। তবে এসইএন রেডিওতে কোচ ম্যাকডোনাল্ড যা বলেছেন তা রীতিমত আক্ষেপে পোড়াবে অজি ভক্তদের।
‘প্যাট কামিন্স কোনো ধরনের বোলিং এখনও শুরু করতে পারেনি। তার খেলার সম্ভাবনা তাই প্রবলভাবেই কম। যার অর্থ, আমাদের একজন অধিনায়ক প্রয়োজন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিকল্পনা নিয়ে দেশে প্যাট কামিন্সের সঙ্গে যখন আলোচনা হয়েছে আমাদের। (অধিনায়ক হিসেবে) স্টিভ স্মিথ ও ট্রাভিস হেডের নামই এসেছে বিবেচনায়। নেতৃত্বের জন্য ওদের দুজনের দিকেই তাকাব আমরা।’
কামিন্সের না খেলার বিষয়টি নিশ্চিতের পরপরই আরেক পেসার হ্যাজেলউডের ব্যাপারেও শঙ্কার কথা শোনালেন তিনি, ‘জশ হেইজেলউডের ব্যাপারটিও আছে, ফিট হয়ে উঠতে লড়ছে সে। আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে মেডিকেল তথ্যগুলো আসবে, আমরা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব একং সবাইকে জানতে পারব যে, কোন পথে এগোচ্ছি।’
জশ হ্যাজেলউডের চলছে হিপ ইনজুরি। এই ইনজুরির কারণেই ভারতের বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের ৩ ম্যাচ মিস করেন তিনি। এছাড়া আগেই পিঠের ইনজুরির কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গিয়েছেন মিচেল মার্শ।
এদিকে ইনজুরি নিয়ে এই সঙ্কটের কারণ বিউ ওয়েবস্টারের ওয়ানডে অভিষেক হয়ে যেতে পারে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়ে। অজি কোচের কাছ থেকে অন্তত সেই আভাসই মিলেছে। আবার প্যাট কামিন্সের ইনজুরিতে শন অ্যাবটকে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।