মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

টুঙ্গিপাড়া থানা-পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে রাতভর সেনাবাহিনীর পাহারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

টুঙ্গিপাড়া থানা-পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে রাতভর সেনাবাহিনীর পাহারা

 

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে সাজোয়া যান নিয়ে সারারাত থানা পাহারা দিয়েছে সেনাবাহিনী। হামলায় টুঙ্গিপাড়া থানার ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা বঙ্গবন্ধু সমাধির পাশে খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থক বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, সন্ধ্যায় খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগে ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লিফলেট বিতরণ করা বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় মুদি দোকানি সাফায়েত হোসেনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

এসময় মসজিদের মাইকে ডাক দিয়ে পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে তাদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা। 

পরে থানার ওসিসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে তারাও তোপের মুখে পড়ে। ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় একজনকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকেই নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি সাজোয়া যান নিয়ে সেনাবাহিনী টুঙ্গিপাড়া থানার সামনে সারারাত অবস্থান করেছে। এছাড়া টুঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মঈনুল হোসেন জানান, তিনি মসজিদে মাইকে ঘোষণা শুনে ছুটে গিয়ে দেখি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে ফেলে রাখা হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যদেরও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে সেখানে পৌঁছে তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ওসির কাছে বুঝিয়ে দেন। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের থানাসহ সব পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সাজোয়া যানসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা থানার চারপাশে অবস্থান করছে। হামলায় আমিসহ বেশ কয়েকজনকে আহত হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।