মিয়ানমারের একটি স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে স্কুলের ছয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ১৭ জন। এছাড়াও আটক করা হয়েছে আরও ২০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে।
(২০ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, (১৬ সেপ্টেম্বর) সামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টার যখন হামলা চালায়, সেসময় ক্লাস চলছিল স্কুলটিতে। ওপর থেকে ঢালাও গুলিবর্ষণে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় অন্তত চারজন শিক্ষার্থী এবং আহত অন্যান্যদের নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয় আরও দুইজনের।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুলিবর্ষণের পাশাপাশি কথিত ‘সন্ত্রাসীদের’ খুঁজতে লেত ইয়েত কোং গ্রামে সেনাবাহিনীর একটি দল তল্লাশি চালিয়েছে বলেও রয়টার্সকে জানিয়েছেন স্থানীয় দুই বাসিন্দা। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের নাম প্রকাশ করেনি রয়টার্স।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই হামলা ও তল্লাশি অভিযানের ছবি পোস্ট করেছেন বহুমানুষ। সেসব ছবিতে ওই স্কুলের বুলেটবিধ্বস্ত দেওয়াল ও বিভিন্ন স্থানে রক্তের ছোপ দেখা যায়।
(১৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী জানায়, ক্ষমতাসীন জান্তাবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মি (কিয়া) ও পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্সের (পিডিএফ) সন্ত্রাসীরা দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ সাগাইংয়ের লেত ইয়েত কোং গ্রামের ওই স্কুলটিতে আশ্রয় নেয়— এই তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। গ্রামটিকে সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্র পরিবহনের রুট হিসেবে ব্যবহার করে বলেও দাবি করেন দেশটির সেনাবাহিনী।
গোপন সূত্রে এই তথ্য জানার পর লেত ইয়েত কোং গ্রাম ও সেই গ্রামের স্কুলটিতে অভিযান চালানোর উদ্দেশে গিয়েছিল সেনাবাহিনী। সে সময় কিয়া ও পিডিএফের সন্ত্রাসীরা সেনা সদস্যদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তখন আত্মরক্ষার্থেই সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ করে।
সন্ত্রাসীরা গ্রামের সাধরণ মানুষকে ‘মানববর্ম’ হিসেবে ব্যবহারের কারণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন। পাশপাশি ওই স্কুল ও গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে ১৬টি হাতে বানানো বোমা উদ্ধার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।