বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল জিয়াউল হক মন্তব্য করেছেন যে, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদী এলাকায় রোহিঙ্গাদের প্রভাব পড়ছে। তার মতে, এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের সীমান্ত পরিদর্শন শেষে এবং গরিব, অসহায়, দুস্থ ও শীতার্ত পরিবারের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল জিয়াউল হক এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় রোহিঙ্গাদের প্রভাব এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সচেতনতা এবং তৎপরতা অব্যাহত রাখা জরুরি। শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে তিনি অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর কথা উল্লেখ করেন এবং ভবিষ্যতে আরও সহায়তার অঙ্গীকার করেন।
সীমান্ত পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল জিয়াউল হক বলেছেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড গত ৩০ বছর ধরে সফলভাবে কাজ করে আসছে এবং তাদের কাজ জনগণের সুরক্ষা এবং পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা রক্ষায় অবদান রাখছে। তিনি উল্লেখ করেন, কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রোধে টেকনাফের নাফ নদীসহ উপকূলীয় এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার করা হচ্ছে। এভাবে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
জিয়াউল হক বলেন, মাদক পাচার রোধে কোস্টগার্ড রাত-দিন কাজ করছে, এবং এ কাজে সীমান্তে বিজিবি ও র্যাবের সদস্যরাও যুক্ত রয়েছে। তিনি আরও জানান, মায়ানমারে আরাকান আর্মি এবং জান্তা সরকারের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় প্রভাব পড়ছে, এবং সেন্টমার্টিনের যাতায়াত রুটে কিছু পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হতে পারে।
কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম-উল-হক জানান, ভবিষ্যতেও কোস্টগার্ড জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এবং জনগণের জন্য সেবামূলক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।