শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

সংস্কারের অভাবে মাদারগঞ্জ - জামধল ঘাট সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী জনদূর্ভোগ চরমে

জামদল বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:১২ পিএম

সংস্কারের অভাবে মাদারগঞ্জ - জামধল ঘাট সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী  জনদূর্ভোগ চরমে

জামালপুরের মাদারগঞ্জ থেকে বগুড়ার জামদল ঘাট পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা এবং সংস্কারের অভাবে এলাকাবাসী চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে এবং দুর্ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে, যা মানুষের জীবনে নানা ধরনের বিপদ সৃষ্টি করছে। সড়কটির খানকন্দক থেকে দুর্ঘটনা ঘটে, যা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

 

এছাড়া, বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়ন যমুনা নদীর পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। তবে, সড়কটির উন্নয়ন ও সংস্কারের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা হলে স্থানীয় মানুষের যাতায়াত আরও নিরাপদ ও সুবিধাজনক হতে পারে।

 

 

 

জামধল ঘাট দিয়ে যমুনা নদী পার হয়ে বগুড়ায় যাওয়ার পথটি এলাকার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে, মাদারগঞ্জ উপজেলা সদরে যেতে কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে জামদল ঘাটের সড়কটিই তাদের একমাত্র ভরসা। সড়কটির অবস্থা খারাপ হওয়ায়, হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। জামালপুর ও শেরপুর জেলার লোকজনও এই সড়ক দিয়ে বগুড়া হয়ে উত্তরবঙ্গে কম সময়ে যাতায়াত করতে পারত, যা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থা।

 

জামালপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ একযুগেরও বেশি সময় আগে জামধল ঘাট থেকে মাদারগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করেছিল। তবে, সড়কটির বর্তমান অবস্থা এমন যে, এটি আর যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত নয়, যার কারণে স্থানীয়দের যাতায়াতে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সড়কটির সংস্কার হলে, এই এলাকার মানুষের জন্য আরও সহজ ও নিরাপদ যাতায়াত সম্ভব হবে।

 

কাজলা ইউনিয়নসহ মাদারগঞ্জের ৫টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এ সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করেন এবং তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য জামালপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করেন। এ সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার মাধ্যমে উত্তরবঙ্গেও যাতায়াত করা যায়। তবে, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে এটি চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

 

সড়কটির খানখন্দক এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, যা যানবাহনের ক্ষতি ও জনসাধারণের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। বর্ষাকালে কাদা এবং শুষ্ক মৌসুমে ধুলোর কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াত আরও কষ্টকর হয়ে ওঠে। কৃষকদের জন্যও এটি একটি বড় সমস্যা, কারণ তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য পরিবহন করতে সমস্যায় পড়ছেন এবং বেশিরভাগ সময় কমদামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে।

 

স্থানীয়রা এই সড়কটির সংস্কারের জন্য বহুবার আবেদন জানিয়েছেন, তবে সড়কটির অবস্থা সঠিকভাবে উন্নত না হওয়ায় তাদের সমস্যাগুলো আরও বাড়ছে। অটোরিক্সা চালক, ট্রাক চালক এবং কৃষকদের দাবি, সড়কটির দ্রুত সংস্কার করা হলে তাদের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হবে। মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাদির শাহ জানিয়েছেন, সড়কটির খারাপ অবস্থা সম্পর্কে তারা জানেন এবং ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের সড়কটি পরিদর্শন করার জন্য বলেছে, যাতে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া যায়।