ফরিদপুরের ধলার মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ম ঘুড়ি উৎসব। উৎসবটি ছিল এক আকর্ষণীয় ও আনন্দমুখর আয়োজন, যেখানে বিভিন্ন বয়সী লোকজন অংশগ্রহণ করেন। তারা ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, সেলফি তোলেন এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় ফরিদপুরের সিটি অর্গানাইজেশনের উদ্যোগে এবং পেপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সহায়তায় ৮ম ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।
*বিশেষ অতিথিরা:*
- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এমদাদ হোসেন
- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল
- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছিন কবির
- পেপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান
- ফারিয়ান ইউসুফ প্রমুখ।
*‘চলো হারাই শৈশবে’ স্লোগান:*
এ বছরের ঘুড়ি উৎসবের স্লোগান ছিল ‘চলো হারাই শৈশবে’। এতে বলা হয়, ঘুড়ি উৎসব ফরিদপুরবাসীর প্রাণের উৎসব এবং এটি তরুণদের জন্য একটি আনন্দদায়ক অনুষ্ঠান হয়ে উঠেছে। ফরিদপুরে মানুষের বিনোদনের জন্য এটি এখন অন্যতম উৎসবে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এই উৎসবে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে সফল করেছেন।
বিশেষ করে ফরিদপুরের তরুণদের মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং তাদের মাদকের থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
*গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি:*
বক্তারা বলেন, ঘুড়ি উৎসবের মাধ্যমে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে। তারা ফরিদপুর সিটি অর্গানাইজেশন এবং টাইটেল স্পন্সর পেপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এই আয়োজনে সবধরনের সহায়তা বজায় রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
*বিভিন্ন ধরণের ঘুড়ি:*
উৎসবে ড্রাগন ঘুড়ি, বাংলাদেশের পতাকা ঘুড়ি, সাপ ঘুড়ি, ঈগল ঘুড়ি, সুপারম্যান ঘুড়ি সহ নানা ধরনের ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়।
*পুরস্কার:*
ঘুড়ি উৎসব শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ছিল ২৪ ইঞ্চি এলইডি স্মার্ট টিভি, দ্বিতীয় পুরস্কার মাইক্রোওভেন এবং তৃতীয় পুরস্কার ছিল গ্যাসের চুলা।
এভাবে, ফরিদপুরের ৮ম ঘুড়ি উৎসবটি ছিল একটি আনন্দের এবং শিক্ষা প্রচারের মঞ্চ, যেখানে শত শত মানুষ একত্রিত হয়ে স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা রকমের ঘুড়ি উড়িয়ে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছে।