ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে চাঁদাবাজির অভিযোগে শীর্ষ চাঁদাবাজ শহীদুল ইসলাম রাসেল (৩৫), যিনি 'নাপিত রাসেল' নামে পরিচিত, আটক হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাসেল ফেনী শহরের পুলিশ কোয়াটার এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনা রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, রাসেল শহরের ইস্টার্ন ব্যাংকের বিপরীতে জনতা মেটাল থেকে ৬০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় রাসেল জনতা মেটালে ভাংচুর চালান। তখনই ব্যবসায়ীরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
এ ঘটনায় জনতা মেটালের মালিক বাদী হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
#অপরাধের ইতিহাস#
পুলিশ জানায়, নাপিত রাসেলের বিরুদ্ধে আরো ৭টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। রাসেল দীর্ঘদিন ধরে ফেনী শহরের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারছিল না।
#বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি#
ফেনী শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী এলাকা ও দোকানদারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছিলেন রাসেল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করতেন তিনি। এর পাশাপাশি, তার বিরুদ্ধে ভাংচুর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
#পুলিশের তৎপরতা#
শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর কবির জানান, নাপিত রাসেল ফেনীর শীর্ষ চাঁদাবাজদের মধ্যে অন্যতম। তার গ্রেফতারের পর পুলিশ আরও তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ এ ঘটনায় আরো তথ্য সংগ্রহ করছে এবং অন্যান্য মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
#উপসংহার#
ফেনী শহরের শীর্ষ চাঁদাবাজ নাপিত রাসেলের গ্রেফতারকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা স্বাগত জানিয়েছেন। তার গ্রেফতারকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার ছিলেন। পুলিশ আশা করছে, রাসেলের গ্রেফতারের ফলে ফেনী শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হবে এবং চাঁদাবাজি কমে যাবে।