জামালপুর সদর উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের গোদাশিমলা রঘুনাথপুর শিমুলতাইর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় জামালপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহতদের স্বজন মো. ওয়াজেদ আলী।
জানা যায়, উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ ও মাতাব্বরদের নিয়ে একটি সালিশ বৈঠকের আয়োজন্ করা হয়। সালিশ বৈঠকের একপর্যায়ে মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে আল আমিন, জুয়েল মিয়া ওরফে ফকির ও মো. আরিফ ওরফে বাবু, আবুল হোসেন ওরফে কানাইয়ের ছেলে মো. কামরুল, নিয়ামত আলীর ছেলে আসাদুল মিয়া ও মো. আপেল মিয়া, কিনাতুল্লাহ সেখ এর ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মজু এবং আব্দুর রহমান ওরফে মওলানা সবাই সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। হামলায় মোতালেবের ছেলে মমিনুর রহমান আলী, মোতালেবের বড় ছেলের বউ মোছা. মর্জিনা বেগম, নাতী মিস্টার আলী ও মমিনুর রহমান আলীর স্ত্রী মোছা. সুমি বেগম আহত হয়। এসময় প্রতিপক্ষরা তাদের বাড়ীঘর ভাংচুর করে ও স্বর্ণঅলংকার লুট করে নিয়ে যায়।
গুরুতর আহত মিস্টার আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষরা দীর্ঘদিন থেকে আমাদের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছে। রবিবার এ নিয়ে দিনব্যাপি সালিশ বৈঠক হয়। সালিশের গণ্যমান্যব্যক্তিরা নতুন একটা তারিখ নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু প্রতিপক্ষরা তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের উপর হামলা করে। হামলায় আমাদের অনেকেই আহত হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, তারা শুধু মারপিট করেই ক্ষান্ত হয়নি আমাদের মেরে ফেলারও হুমকি-ধামকি দিয়েছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিপক্ষ আল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে আমাদের সাথে তাদের ঝামেলা চলছে। রবিবার একটা সালিশ হয়েছিল তারা ওই সালিশ মানেনি। আমরা তাদের উপর হামলা করেনি, বরং তারা আমাদের লোকদের উপর হামলা করেছে। আমাদের কয়েজন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ করবো থানায়।