বুধবার, জানুয়ারী ৮, ২০২৫

মামলার ফাঁদে গৃহবধূ কারাগারে, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

আব্দুর রাজ্জাক , সখিপুর

প্রকাশিত: ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০১ পিএম

মামলার ফাঁদে গৃহবধূ কারাগারে, এলাকাবাসীর প্রতিবাদ

 টাঙ্গাইলের সখিপুরে মামলার প্রতারণার ফাঁদে ফেলে এক গৃহবধূকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
সোমবার (০৬ জানুয়ারী) দুপুরে উপজেলার কচুয়া-মহানন্দপুর সড়কের বেপারীপাড়া এলাকায় এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। 
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ওই ভুক্তভোগী পরিবার ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার কয়েক'শ নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
এর আগে ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিবাদী আলেয়া আক্তার ন্যায়বিচার চেয়ে নাজমা আক্তার(এডভোকেট) ও মো: মাসুদুল হক রতনের(এডভোকেট) বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা এডভোকেট বার সমিতিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজসেবক শাহাদত হোসেন শাহজাহান, কালিয়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান আলী,
নারী ইউপি সদস্যা রুমা আক্তার, ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, মামুন সিকদার,  জয়নাল আবেদীন, সোহরাব আলী, বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। 
এসময় বক্তারা বলেন, স্থানীয় প্রবাসী মিনহাজ মিয়ার স্ত্রী আলেয়া আক্তার প্রতিবেশী ময়মন বেগমের কাছ থেকে প্রায় দুই বছর আগে ব্ল্যাংক চেকের মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা নেন।
সম্প্রতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য মাতাব্বরদের উপস্থিততে ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি টাকা পরিশোধের সময় নেওয়া হয়। কিন্তু এরই মধ্যে ময়মন ও তার মেয়ে নাজমা আক্তার টাঙ্গাইলের মাসুদুল হক রতন নামের এক আইনজীবীর মাধ্যমে ব্ল্যাংক চেক ডিজঅনার দেখিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে মামল করা হয়। সেই মামলায় ওয়ারেন্ট হলে ওই আলেয়া নামের গৃহবধূকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। 
এলাকাবাসী জানান, ময়মন ও তার পরিবারের লোকজন মামলাবাজ। তারা অন্য উপজেলার বসতি, সেখানেও তাদের নামে নানা অভিযোগ রয়েছে। এখানে এসেও তারা মানুষকে মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করছে। 
কারাগারে থাকা আলেয়ার স্বামী প্রবাসী মিনহাজ মিয়া বলেন, ব্ল্যাংক চেকের মাধ্যমে আমার স্ত্রী ১ লাখ টাকা এনেছিল ময়মনের কাছ থেকে।
 কিন্তু মামলার বাদী রতন নামের এক ব্যক্তি, যাকে আমরা চিনিনা। এখানে ময়মন ও তার মেয়ে নাজমা ওই ব্যক্তিকে দিয়ে ১৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলা করিয়েছে। 
এলাকাবাসীর দাবি ময়মন ও তার পরিবারের দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়ার জন্য এই মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে নির্দোষ গৃহুবধূ আলেয়ার মুক্তি দাবি করেছেন।
এদিকে এই প্রতারণা ও মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে এলাকার অন্তত দুই শতাধিক নারী-পুরুষ গণস্বাক্ষর দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ময়মন বলেন, মিনহাজ ও তার স্ত্রী কয়েক দফায় আমার মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা নিয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে। আমি তাদের কাছে এখনো ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাই।