বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫
মা-মেয়ের বয়সের ব্যবধান ৫ বছর

এনআইডি কার্ডে বয়স জালিয়াতি

এসএসসিতে অকৃতকার্য হয়েও স্কুল শিক্ষিকা, টাকার বিনিময়ে জাল সনদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৬:০১ পিএম

এনআইডি কার্ডে বয়স জালিয়াতি

_নিজস্ব প্রতিবেদক_ 

 

কন্যা ও পুত্র সন্তানের জননী চায়না রানী। পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। কর্মরত আছেন ভোলার দৌলতখান উপজেলার কালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে। তবে এতো বছর পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এনআইডি কার্ড ও সনদ জালিয়াতি করে চাকরি পাওয়ার।

 

জানা যায়, ১৯৮৪ সালে সুখদেব মদনমোহন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও অকৃতকার্য হন চায়না রানী। এদিকে আভিযুক্ত চায়না রানীর এনআইডি কার্ডে জন্ম সাল ১৯৮৪। জন্মের পরপরই কিভাবে তিনি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এমন প্রশ্ন থেকে যায় জনমনে। 

 

পরীক্ষায় অকৃতকার্য ওয়ার পরপরই তার বিয়ে হয়ে যায়। তবে বিপত্তি বাধে চায়না রানীর মেয়ে অন্তরার এনআইডি কার্ড হাতে পাওয়ার পর। অন্তরার এনআইডি কার্ডে দেখা যায়, তার প্রকৃত জম্ম সাল ১৯৮৯। অথচ তার মা চায়না রানীর এনআইডি কার্ডে জম্ম সাল ১৯৮৪। অর্থাৎ মেয়ে চেয়ে মায়ের বয়স মাত্র ৫ বছর বেশি।

 

মেয়ে অন্তরার প্রকৃত বয়স ও এসএসসি পরীক্ষার সাল থেকে ধারণা করা যায় চায়না রানীর এন আইডি কার্ড ও চাকরিতে ব্যবহৃত সনদ গুলো জাল।

 

সূত্রে আরো জানা যায়, চায়না রানী বিয়ের পর কোন প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ছিলেন না। কালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যখন রেজিস্টার প্রাথমিকে ছিল ওই সময় চায়না রানী মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও এইচ এসসি সনদ তৈরি করে চাকরিতে যোগদান করেন। বর্তমানে ওই রেজিস্টার কালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারি প্রাথমিকে পরিণত হয়েছে। 

 

এছাড়া আরো জানা যায়, চায়না রানীর সন্তান ও স্বামী ভারতের নাগরিক। পশ্চিম বঙ্গের কলকাতায় রানাঘাটে তার স্বামী প্রদীপ শর্মার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। 

 

এ বিষয়ে সতত্যা নিশ্চিতে চায়না রানীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কোন সনদ জাল নয়, আমি পড়ালেখা করে পরিক্ষা দিয়ে এই পর্যন্ত এসেছি। তবে তিনি এবং তার মেয়ে অন্তরার বয়সের গড়মিল ও এসএসসি পরিক্ষার সাল নিয়ে প্রশ্ন করলে ব্যস্ততার অযুহাতে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। এখন অভিযোগ পেলাম। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।