ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, উদ্ভাবন ও উদ্যোগকে একত্রিত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। কেউ যদি মাস্টার্স পর্যন্ত লেখাপড়া করে চাকরি শুরু করে তাহলে শুধু সে একজনই প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু যখন সে উদ্যোক্তা হয়ে কোন একটা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাবে সেখানে আরো ২০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তাই তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
আজ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং চিটাগং আইটি প্রফেশনাল(এসসিআইটিপি)’র যৌথ আয়োজনে ৬ষ্ঠ চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ার-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা’র সভাপতিত্বে বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক বক্তৃতা করেন। এসসিআইটিপির প্রেসিডেন্ট মোঃ আব্দুলাহ ফরিদ, স্বনামধণ্য আইটি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ স্কুল কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী ও সাধারণ দর্শণার্থী মেলায় উপস্থিত ছিলেন।
এ আইটি ফেয়ার ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। ভারত চীন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক আইটি ও সল্যুশন বেইজড প্রতিষ্ঠান মিলে দেশী-বিদেশী প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৬০টির মতো স্টল মেলায় স্থান পেয়েছে।
সচিব বলেন, আমাদের দেশে সম্ভাবনার অভাব নেই। এখানে একাডেমি থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রি, স্টার্টআপ, আইটি ইনকিউবেটর, ফ্রিল্যান্স সেক্টর সবই রেডি। এসব খাতকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, ফ্রি-ল্যান্স করে যারা আয় করে তাদের আয়কে আরো নিরাপদ এবং সহজলভ্য করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেপালের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে এদেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে তরুণ সমাজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্ভাবনী কাজে আরো বেশি উৎসাহিত হবে।
তিনি আরো বলেন, একটা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে ইন্ডাস্ট্রি। ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে প্রাইভেট সেক্টরগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করতে হবে। মেধাবীদের সেক্টরভিত্তিক কাজে আরো দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য আইসিটি ডিভিশন নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ শিক্ষার্থীদের কাজ করার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধশালী করা যাবে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর মধ্যে আছি। কর্মক্ষম জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এর সুফল ঘরে তুলতে হবে।
সচিব বলেন, কোভিড মহামারীর সময় সুরক্ষা এ্যাপ মানুষের অনেক উপকারে এসেছে। বর্তমানে এর কার্যকারিতা কমে গেছে। আশার কথা হচ্ছে -সুরক্ষা এ্যাপ আবার চালু করা হচ্ছে। মানুষ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি এ এ্যাপের মাধ্যমে নিতে পারবে।
পরে তিনি মেলা উদ্বোধন ও স্টল পরিদর্শন করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।।