১৪ এপ্রিলকে ‘বাংলা নববর্ষ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেটের সিনেট। অঙ্গরাজ্যটির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি ও বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিউইয়র্কে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩২ স্টেট সিনেট লুইস সেপুলভেদার প্রস্তাবে অঙ্গরাজ্যের সিনেটে সর্বসম্মতিতে স্থানীয় সময় বুধবার (২২ জানুয়ারি) এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গভর্নর ক্যাথি হোকুল ২৩৪ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেন। ঘোষণাটি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সিনেটের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।
ওই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, ১৪ এপ্রিল, অর্থাৎ বাংলা বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখকে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই অঙ্গরাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি হিসেবে এবং এই রাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস বর্ণনা করে এতে আরও বলা হয়, ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের সূচনা হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে, যেমন লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে একই সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে।
বাংলা ভাষায় কথা বলেন এমন অভিবাসীর কথা উল্লেখ করে ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলা থেকে আগত বিপুল সংখ্যক অভিবাসী এ রাজ্যে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন।
বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন। এদের অর্ধেকই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা।
পয়লা বৈশাখ বাঙালির জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ঘোষণায় বলা হয়, প্রতিবছরই বিপুল সমারোহে দিনটি উদযাপিত হয়ে থাকে। ২০২২ সাল থেকে দিবসটি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে উদযাপিত হয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিশ্বজিত সাহা বলেন, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে যে বিশ্ব বাঙালি রয়েছে এ স্বীকৃতি সবাইকে উজ্জীবিত ও গৌরবান্বিত করবে।