মঙ্গলবার, এপ্রিল ২২, ২০২৫

চার দেশের সমন্বয়ে সামুদ্রিক আইন প্রয়োগে প্রশিক্ষণ

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

চার দেশের সমন্বয়ে সামুদ্রিক আইন প্রয়োগে প্রশিক্ষণ

ফিলিপাইন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার উপকূলরক্ষী ও মৎস্য কর্মকর্তারা একটি যৌথ সামুদ্রিক আইন প্রয়োগকারী প্রশিক্ষণে জাহাজে তল্লাশী এবং গ্রেপ্তারের কৌশল অনুশীলন করেছেন। ম্যানিলায় মার্কিন দূতাবাস সোমবার একথা জানিয়েছে।

ফিলিপাইনের দক্ষিণ দ্বীপ মিন্দানাওতে দুই সপ্তাহের কোর্সটি চীনের সাথে সামুদ্রিক সংঘাতের আশঙ্কা বাড়ার সাথে সাথে আইন প্রয়োগকারী সহযোগিতা বাড়ানোর আঞ্চলিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই অনুশীলনটি করা হয়। ম্যানিলা থেকে এএফপি খবর জানায়।

কৌশলগত জলপথে ফিলিপাইন এবং চীনা জাহাজের মধ্যে ঘন ঘন সংঘর্ষ বা উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি দেখা দেয়। সেই সাথে সাম্প্রতিক সময় ভিয়েতনামী এবং ইন্দোনেশিয়ান জাহাজও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে।

ফিলিপাইন কোস্টগার্ড ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার রেজার্ড ভি. মারফে মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘একসাথে আমরা আমাদের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব, সকলের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির একটি অঞ্চল বজায় রাখার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করছি।’

বিবৃতি অনুসারে প্রশিক্ষণে সমুদ্রে নিরাপদ জাহাজ তল্লাশী, সামুদ্রিক আইন প্রয়োগ, তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, নিরাপত্তা এবং ঝুঁকি প্রশমন এবং গ্রেপ্তারের কৌশল অন্তর্ভূক্ত ছিল।

অস্ট্রেলিয়ান সীমান্ত রক্ষী পর্যবেক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণে উপকূলরক্ষী, শুল্ক প্রয়োগকারী এবং মৎস্য নজরদারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার নৌ বাহিনীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। কারণ, তারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ চীন সাগরের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীর এবং দ্বীপগুলো থেকে ফিলিপাইনকে বাধা দিতে চীন নৌবাহিনী এবং উপকূলরক্ষী জাহাজ মোতায়েন করেছে।

গত অক্টোবরে হ্যানয় বেইজিংকে একটি নিষ্ঠুর আক্রমণের জন্য অভিযুক্ত করেছিল। কারণ, চীনের নৌবাহিনী ভিয়েতনামের ১০ জেলেকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাজার হাজার ডলার মূল্যের মাছ ও সরঞ্জাম ছিনতাই করেছিল।