ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। চলমান অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যত প্রায় ভেঙে পড়েছে বলা যায় একেবারে। সেই সুবাদে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যা হলেই কিশোর গ্যাঙের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায় দিনের অন্যান্য সময়ের চায়তে। সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাঙের দৌরাত্ম্য বেড়েছে নগরীর বাকলিয়া নতুন ব্রিজ এলাকায়। কার জমি কে দখল করছে যেন কোনো নিয়ম-নীতি নেই। এসব কর্মকাণ্ডে প্রশাসনের কাছ থেকেও কোনো সাড়া মিলছে না।
অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনের সাথে সাথেই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভূমিদখল ও চাঁদাবাজীর খেলায় মেতে উঠেন কিশোর গ্যাঙ পরিচালিত নুরু গ্রুপ।
কথিত এই গ্রুপের বিরুদ্ধে নতুন ব্রিজ চত্বরে হকারদের চাঁদাবাজি, ট্রাক স্টেশন দখল, টেম্পো স্টেশন দখল, বাস স্টেশন দখলসহ আরও নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, গেল ৫ আগষ্টে সরকার পরিবর্তনের পরপর চাঁদাবাজি ও লুটপাটের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে কোটি টাকার মালিক বনে যান এই নুর গং ও তাঁর ক্যাড়ার বাহীনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকার পতনের পরের দিনই ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন জনির রাজাখালীস্থ ট্রাক স্টেশন দখল করে নূরুল হক নূরু গ্রুপ। একই দিন রাতে সাবেক কারা পরিদর্শক মান্নান এর নাহার স্কেল দখলের চেস্টা করে ব্যর্থ হলেও তার অফিসে লুটপাট চালায়ি নগদ অর্থসহ জিনিসপত্র লুটপাট করে চক্রটি। এছাড়াও গত ৭ আগস্ট বিশাল অংকের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে পরিবহন শ্রমিক নেতা জানে আলমের মালিকানাধীন জায়গাও দখল করেন চক্রটি। এসব বিষয়ে চট্টগ্রামের কয়েকটি স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হলে মিথা অপপ্রচার বলে মানববন্ধনও করে নুরু গংরা। মানববন্ধন শেষে করে রাতেই দখল করে নেন কর্ণফুলী ব্রিজের নিচে থাকা ট্রাক মালিক সমিতির ট্রাক স্টেশনটি।
শুধু এখানেই শেষ নয়, বাস্তহারাস্থ খেতচর জেলে সমিতির ঘাট,বা্স্তহারায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জায়গা দখলে সহয়তা, নিজেরা দখল, টেম্পু স্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে কথিত এই গ্রুপের অনুসারী বার্মা রবিউল, সাইফুল প্রকাশ সোর্স সাইফুল, মো:রুবেল, সোহেল, হকার বেলাল, মিরাজসহ বাস্তহারা নতুন ব্রিজ এলাকার বেশ কয়েকজন এই গ্যাংকটির বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বিএনপির এক নেতা জানায়, নুরুল হক নুরুর পছন্দের লোকজনকেই রাখা হয় দলীয় পদে।আর তার সুপারিশ কমিটিতে রয়েছেন আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাও।
এদিকে এসব বিষয়ে অভিযুক্ত নুরুল হক নুর জানায় ভিন্ন কথা, তিনি জানান, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমি সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। আমার নাম দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
কোতোয়ালি থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক নূরু হোসেন নূরুর এসব ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ স্থানীয় বিএনপি। তার এধরণের কর্মকাণ্ডে হতাশ খোদ স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।।