বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫

কোটিপতি প্রভাবশালী মহলের দ্বারা শ্রীমঙ্গলে ভূমিহীন পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৮:০২ পিএম

কোটিপতি প্রভাবশালী মহলের দ্বারা শ্রীমঙ্গলে ভূমিহীন পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

 

শ্রীমঙ্গলে কোটিপতি প্রভাবশালী মহলের দ্বারা দুটি ভূমিহীন পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেন উপজেলার ১নং মির্জাপুর ইউনিয়নের উত্তর বৌলাছড়া গ্রামের মৃত মনু মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মির্জাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপাশা মৌজায় ২১ শতক ভূমি তার পিতা খরিদ সূত্রে মালিক ও দখলদার ছিলেন। ওই ২১ শতক ভূমি যে কোন কারণে ১৯৮৮ সালে আর,এস জরিপের সময় সরকারের খাস রেকর্ডে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা সরকার বাহাদুর থেকে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভূমিহীনের কোটায় ২৯১৯/২১ ও ২৯২৫/২১ দুটি সাব-কবলা রেজিস্ট্রী দলিল মূলে ৯৯ বছরের জন্য লীজ বন্দোবস্ত পান।  তারা উত্তরাধীকারী সূত্রে ও বন্দোবস্তের বলে ওই ২১ শতক ভূমিতে বাড়ীঘর নির্মাণ করে ফসলাদি ফলিয়ে ভোগ দখল করে যাচ্ছেন। কিন্তু একই ইউনিয়নের মঙ্গল লাল রবিদাসের স্ত্রী মিরা দাস গং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের  ও ফসলাদি লুটপাটের অভিযোগ করেন। মিরা দাস ভূয়া দলিল সৃষ্টি করে তাদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ ও দখলের পায়তারা করছেন। তাদের প্রতিপক্ষরা খুবই প্রভাবশালী ও ধন ধৌলতের মালিক। তাদের জীবন নিয়ে তারা শংকিত রয়েছেন। গত ৩০ জানুয়ারী মিরা দাস মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেন। মানহানিকর বক্তব্য করায় তারা এর প্রতিবাদ জানান। এসময় তিনি আরও বলেন, মিরা দাস ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা ভূমিহীন! ওই ২১ শতক জায়গা ছাড়া তাদের আর কোন সম্পত্তি নেই বলে জানান। প্রকৃতপক্ষে তারা ভূমিহীন নয়, বরং মির্জাপুর বাজার ও আশপাশে তাদের প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে।

এ ব্যাপারে মিরা দাসের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ হয় নাই। মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিসলু আহমেদ জানান, সুরুজ মিয়া গংদের সরকার বাহাদুর ভূমিহীন হিসেবে জায়গা লীজ দেন কিন্তু মিরা দাস স্বত্ব দাবী করে ওই জায়গার ওপর আদালতে মামলা দায়ের করেন বলে আমাকে জানান। তিনি আরও জানান, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় উভয় পক্ষকে আদালতে আইনি লড়াই করতে আমি পরামর্শ দিয়েছি। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।