বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৫

টাঙ্গাইলের গোপালপুর এর কৃষক দেলোয়ার হোসেনের সংগ্রাম ও সাফল্য

রাহাত শরীফ, গোপালপুর

প্রকাশিত: ০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০২ পিএম

টাঙ্গাইলের গোপালপুর এর কৃষক দেলোয়ার হোসেনের সংগ্রাম ও সাফল্য

প্রতিবেদন

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের কৃষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন এবার সূর্যমুখী চাষ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। ধান ও অন্যান্য শস্যের পাশাপাশি তিনি বিকল্প ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। তার এই উদ্যোগ এখন আশপাশের কৃষকদেরও অনুপ্রাণিত করছে।

সূর্যমুখী চাষের শুরু

মোঃ দেলোয়ার হোসেন কয়েক বছর আগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ নিয়ে সূর্যমুখী চাষের পরিকল্পনা করেন। শুরুতে তিনি প্রায় ২ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই ফসল রোপণ করেন। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় তিনি উন্নত জাতের সূর্যমুখীর বীজ সংগ্রহ করেন এবং আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন।

চাষের প্রক্রিয়া

প্রথমেই জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করে বীজ বপন করা হয়। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়। সার ও কীটনাশকের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে গাছের সুস্থ বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তার জমিতে সোনালি রঙের সূর্যমুখী ফুলে ভরে ওঠে।

উৎপাদন ও লাভ

এই বছর তার জমিতে প্রতি বিঘায় প্রায় ১০-১২ মণ সূর্যমুখী বীজ উৎপাদিত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে সূর্যমুখীর তেলের চাহিদা থাকায় তিনি ভালো দামে বীজ বিক্রি করতে পারছেন। তিনি জানান, অন্যান্য ফসলের তুলনায় সূর্যমুখী চাষে খরচ কম এবং লাভের পরিমাণ বেশি।

চ্যালেঞ্জ ও সমাধান

শুরুতে বৃষ্টির অভাব ও কিছু পোকামাকড়ের আক্রমণের সম্মুখীন হলেও তিনি সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে এসব সমস্যা মোকাবিলা করেছেন। কৃষি দপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করে ফসলের ক্ষতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:কৃষক দেলোয়ার হোসেন আগামীতে আরও বড় পরিসরে সূর্যমুখী চাষের পরিকল্পনা করছেন। তিনি আশাবাদী যে সরকার ও কৃষি দপ্তরের সহায়তায় এ অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ আরও জনপ্রিয় হবে।

উপসংহার

মোঃ দেলোয়ার হোসেনের এই সফল সূর্যমুখী চাষ অন্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। তার এই উদ্যোগ প্রমাণ।