মৌলভীবাজারে শমশেরনগর চা বাগানের ক্যামেলিয়া লেকের পাশে ১১ নম্বর সেকশন থেকে পূর্ণিমা রেলী (১২) নামের এক কিশোরীর গলা ও হাতের কব্জি কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গরু আনতে গিয়ে পূর্ণিমা নিখোঁজ হয়।
পূর্ণিমার রেলীর বাবার নাম আপ্পানা রেলী। তিনি চাশ্রমিকের কাজ করেন।
নিহতের বাবা আপ্পানা রেলী জানান, প্রতিদিনের মতো পূর্ণিমা বুধবার সন্ধ্যায় মাঠ থেকে গরু আনতে শমশেরনগর চা বাগানের ১১ নম্বর সেকশন এলাকায় যায়। রাত হয়ে এলেও পূর্ণিমা ফিরে না আসায় তিনিসহ পরিবারের অনান্য সদস্যরা খুঁজতে বের হন। পরে বাগানের মানুষ মিলে সারারাত ধরে তাকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি।
চাশ্রমিক শোভা বানিয়া জানান, বুধবার সন্ধ্যায় গরু আনতে যায় পূর্ণিমা। কিন্তু সন্ধ্যার পর গরু একা একা বাড়িতে আসলেও পূর্ণিমা বাড়ি ফিরে না আসায় তারা দুশ্চিন্তায় পড়েন। পরে বাগানের শ্রমিক ও ম্যানেজম্যান্ট মিলে তাকে খোঁজেন। সারারাত খুঁজেও পূর্ণিমাকে পাওয়া যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চাশ্রমিকরা কাজে গেলে শমশেরনগর চা বাগানের ক্যামেলিয়া লেকের পাশে ১১ নম্বর সেকশনে গলাকাটা ও এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পূর্ণিমার মরদেহ দেখতে পান। বাগানবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর শ্রমিক বস্তির চাশ্রমিক আপ্পান রেলীর মেয়ে পূর্ণিমা রেলী বাড়ির গরু আনতে গিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয়। এর পর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তারা রাতে থানায় বা ফাঁড়িতে জানায়নি। সকালে মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে পুশিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।
চা বাগান শ্রমিকরা জানান, পূর্ণিমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে পরে গলা ও হাতের কব্জি কেটে হত্যা করা হতে পারে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন তার পরিবার থেকে কেউ মামলা নিয়ে আসেনি। তবে এ ব্যাপারে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মেয়েটিকে ঠিক কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।