ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ছোট শুনই ঘাটপাড় গ্রামে ঝুঁকি নিয়ে কাঁঠের সেতু দিয়ে উঠে নদী পারাপারের ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ২০ গ্রামের মানুষ।
জানাযায়, উপজেলা ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ছোট শুনই ঘাটপাড় সংলগ্ন খড়িয়া নদীর ওপর স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত হয় প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যরে কাঁঠের সেতু। প্রায় ২০ বছর ধরে কাঁঠের সেতু পাড়ি দিয়েই চলাফেরা করছে ২০ গ্রামের প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ। এলাকাবাসী স্থানীয় উদ্যোগে প্রায় ২০ বছর আগে নদীর ওপর ১০০ ফুট দৈর্ঘ্য লম্বা একটি কাঁঠের সেতু নির্মাণ করেন। তখন থেকে নদী পারাপারে ২০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা এই সেতু। ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ছোট শুনই ঘাটপাড় সেতু না থাকায় উপজেলা সদরে যাতায়াতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সবসময়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজসহ কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী বর্ষাকালে নড়বড়ে কাঁঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় যাতায়াত করে থাকে। প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ।
রগুরামপুর গ্রামের রফিকুল হোসেন বলেন, এখানে একটি সেতু নির্মাণ না হওয়ায় এলাকার লোকজন ফুলপুর উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন না। এজন্য তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার কৃষিপণ্য শহরে বাজারজাত করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কৃষকেরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ভাইটকান্দি গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন বলেন, শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকায় ছেলে মেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সেতু দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে বেশি ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়।
এলাকাবাসীর দাবি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হলে লোকজনের উৎপাদিত পণ্য উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া এবং উপজেলা সদর থেকে কোনো পণ্য নিয়ে আসা সহজ হত।
এ বিষয়ে ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছোট শুনই ঘাটপাড়ে খড়িয়া নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য কয়েকবার ডিওলেটারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো দিন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে ভাইটকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে এই কাঠের সেতুটি মেরামত করা হয়।