রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

কালের বিবর্তনে জৌলুস শুন্য সাভারের বংশী নদী

মোহাম্মদ ইয়াসিন, সাভার

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০২:০২ পিএম

কালের বিবর্তনে জৌলুস শুন্য সাভারের বংশী নদী

ঢাকার সন্নিকটে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপজেলা সাভার।নদীমাতৃক বাংলাদেশেরপুরাতন ব্রহ্মপুত্রের শাখানদীটি হলো বংশী নদী।এর দৈর্ঘ্য মোট ২৩৮ কিলোমিটার। নদীটি জামালপুর জেলার শরীফপুর ইউনিয়ন অংশে প্রবাহিত পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণে টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলা অতিক্রম করে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। প্রাচীন বাংলার ঢাকাযই মসলিনের আবির্ভাব হয় বংশীপারের ধামরাই উপজেলায়।


বংশী বা বংশাই নদীর নামকরণের তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে এ নদীর উভয় পাড়ে ঘন বাঁশ বাগান ছিলো। আবার উত্তরাঞ্চল থেকে রাশি রাশি বাঁশ এ নদীর উপর দিয়ে দক্ষিণাঞ্চল বিশেষত ধামরাই, সাভার এবং ঢাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। বংশী শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো বাঁশজাত কিংবা বাঁশি, মুরলী। বাঁশ থেকে বংশী এবং বংশী থেকেই হয়তো বংশাই নামটির উৎপত্তি। এ নদী পুরাতন ব্রহ্মপুত্র হতে উৎপন্ন হয়ে জামালপুর দিয়ে মধুপুর পৌঁছে বানার এবং ঝিনাই নদীর শাখার সাথে মিলিত হয়ে ক্রমাগত দক্ষিণ-পূবে এগিয়ে গেছে। এটি বাসাইল ও সখিপুরকে আলাদা করে মির্জাপুর হয়ে কালিয়াকৈরে এসে দুইভাগে ভাগ হয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌপথের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ছিল সাভারের এই বংশী নদী। কালের বিবর্তনে নদী শাসন এবং ভূমিদস্য ও বালু খেকোদের কবলে মৃতপ্রায় এ উল্লেখযোগ্য নদীটি।


এছাড়াও সাভারের অধ্যুষিত শিল্পাঞ্চলের কল কারখানা বর্জ্য শোধনের অভাবে দূষিত হচ্ছে বংশী নদীর পানি। যে নদীর অববাহিকায় জেলেদের জালে ধরা পড়তো দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। আজ তা কেবল স্মৃতি হিসেবে রয়ে গিয়েছে। নদীর কুলঘেসে রয়েছে সবার উপজেলার উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক এলাকা সাভার নামা বাজার ও নয়ার হাট বাজার।ভূমি দস্যুদের কবলে পড়ে নদী ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের কারণে  বংশী নদী তার নিজ গতি হারিয়ে ফেলেছে।