রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

ভেঙে ঝুলে আছে সেতু, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১২:০২ পিএম

ভেঙে ঝুলে আছে সেতু, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

 

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের ভুল্লির বাজার এলাকায় ভুল্লি নদীর ওপর নির্মিত সেতু এবং দুই পাশের রাস্তা ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এতে পাশের নীলফামারী জেলার সদর উপজেলা ও খোকশাবাড়ী ইউনিয়নে চলাচল নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়দের সহায়তায় ভাঙা সেতুর পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পথচারী, মোটরসাইকেল, চার্জার ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ভারী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। প্রতিদিন প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই এ সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে ওই সেতু ও রাস্তা বন্যায় ভেঙে যায়। ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটি ছিল নীলফামারী সদর ও খানসামা উপজেলার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। সেতু ভেঙে যাওয়ায় সাঁকো নির্মাণ করা হলেও দুর্ভোগ লাঘব হয়নি। সাঁকো থেকে পানিতে পড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।

২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ওই সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকি নিয়েই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। সাঁকো পারাপারে বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনে ভোগান্তি হচ্ছে তাঁদের।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভুল্লি নদীটি পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে চলা করোতোয়া নদীর একটি শাখা। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা শহরের কাছাকাছি জায়গা থেকে এর উৎপত্তি। সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার এগিয়ে নদীটির পূর্ব তীরে নীলফামারী জেলার খোকশাবাড়ী ও পশ্চিম তীরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার পূর্ব বাসুলী গ্রাম অতিক্রম করে ২ জেলাকে বিভক্ত করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ওসমানী গনি, আফছার আলী ও ইমাম আলী বলেন, ‘সবাই খালি আশ্বাস দেয়; কিন্তু কাজের কাজ তো হচ্ছে না। এতে আমাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।’ তাঁরা বলেন, ‘কৃষিপণ্য নির্বিঘ্নে পরিবহন করতে না পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ছেলেমেয়েদের বর্ষায় স্কুলে যাতায়াতে অসুবিধা হয়।’

খানসামা উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর মন্ত্রণালয়ে মূল্যায়ন প্রস্তাব অনুমোদন হলে ভুল্লি সেতুর কাজ শুরু হবে। এরই প্রস্তুতি হিসেবে ঝুলে থাকা সেতু অপসারণের জন্য ইতিমধ্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ভাঙা সেতু অপসারণ ও নতুন সেতু নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে এলজিইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।