শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

ধুরাইল ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিছ উদ্দিন সুমনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৩ মার্চ, ২০২৫, ০২:০৩ পিএম

ধুরাইল ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারিছ উদ্দিন সুমনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

হালুয়াঘাট উপজেলার ১০ নং ধুরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়ারিছ উদ্দিন সুমন টানা তিনবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠেছে, যা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে একজন নারী কর্মীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার জেরে, ভিডিও ভাইরাল করা সন্দেহে পাবিয়াজুড়ি গ্রামের আব্দুস সালামের ঘর ভাংচুর এবং ঘরে থাকা জিনিসপত্র লুটপাট করে দিনে দুপুরে চেয়ারম্যান এর ভাই মামুন ও মামাতো ভাই রহিম। এই বিষয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানায় আব্দুস সালাম। 


স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওয়ারিছ উদ্দিন সুমন ও তার দুই ভাই বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমি দখল, মাদক ব্যবসা এবং অন্যান্য অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি ওয়ারিছ উদ্দিন সুমনের ছোট ভাই মামুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই আনুমানিক রাত ২ টায় পাবিয়াজুড়ি বাজারের ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের দোকানে ডাকাতি চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মামুন ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই ঘটনার পর নিহত ব্যবসায়ীর পরিবার মামুনসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে হালুয়াঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নম্বর ০৮। উক্ত মামলায় সকল আসামি জামিনে রয়েছে। ভুক্তভুগি পরিবারের অভিযোগ, মামলার প্রক্রিয়া ধীরগতি করতে গত ৩ দফায় সাক্ষীদের উপস্থিত করলেও সাক্ষগ্রহন নিচ্ছে না আদালত। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা আদালতের পিপি এর সাথে আজকের বাংলা যোগাযোগ করলে, পিপি আনোয়ার আজিজ টুটুল অভিযোগটি অস্বীকার করেন এবং পূর্বের পিপি এর উপর দোষ চাপিয়ে দেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যানের প্রভাবের কারণে মামুনের বিরুদ্ধে আদালত কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। 


স্থানীয়রা জানান, মামুন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক, নারী ও জুয়ার আসর বসিয়ে যুবসমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধের অভিযোগ থাকলেও প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জনগণ দ্রুত ও কার্যকর তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। স্থানীয় সচেতন মহল ও এলাকাবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছেন।