কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এ বছর দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। এ বছর আল্লাহ দিলে ভালো উৎপাদন হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে ধান, চাল ও গমের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করেছে। ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ৩৬ টাকা, চাল ৪৯ টাকা এবং গম ৩৬ টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার দেখার হাওরের গোবিন্দপুর এলাকায় আয়োজিত বোরো ধান কর্তন উৎসব ও মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, এখনো নামমাত্র ধান কাটা শুরু হয়েছে। সামনে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় কৃষকরা ধান কাটার সময় নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, যদি কৃষকরা শঙ্কিত থাকেন, তবে বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীরাও সমানভাবে শঙ্কিত থাকবেন। বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে।
তিনি আরও বলেন, যদি ধান বিক্রিতে কোনো সিন্ডিকেট কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে তা আমাদের জানাতে হবে। আমরা ব্যবস্থা নেব, সব সোজা করে দেব।
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এইবার সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করছে, যাতে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী উপকৃত না হতে পারে।
এ সময় ধান কর্তন উৎসবে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবী, জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়াসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।