নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে এ ঘটনার মীমাংসা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এর আগে গত সোমবার দুপুরে অফিস কক্ষে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত সোমবার সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো. আসাদুজ্জামান কাজলের নেতৃত্বে কয়েকজন লোক ইউএনও’র সাথে সাক্ষাৎ করতে উপজেলা পরিষদে আসেন। এ সময় ইউএনও অন্য একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় তাদেরকে ওয়েটিং রুমে বসতে বলা হয়। তারা ওয়েটিং রুমের পাশে অবস্থিত সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন।
বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান কাজলের নেতৃত্বে কক্ষে প্রবেশ করা লোকজন সদ্য অপসারণ হওয়া আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ক্রেস্ট ও নামফলক দেখতে পান। এসব দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে আসাদুজ্জামান কাজল ও সঙ্গে থাকা লোকজন ভাংচুর শুরু করেন। এ সময় লকার ভেঙে উপজেলা পরিষদের নাইট গার্ড মাজেদুল ইসলামের ব্যাগ, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে।
এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে মঙ্গলবার সকালে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমা সুলতানা নাসরীন বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান কাজল ও তার লোকজনকে ডেকে এনে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে মীমাংসা করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক মো. আসাদুজ্জামান কাজল সাংবাদিকদের বলেন, আমি ইউএনও’র পাশের কক্ষে ছিলাম। এ ঘটনা আমার জানা নাই, জরিমানা দেয়ার বিষয়টিও আমার জানা নাই।
স্থানীয়রা জানান, করিমপুর ইউপির পলাতক চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান আপেলকে চেয়ারম্যান পদে বহাল রাখার তদবির নিয়ে ইউএনও অফিসে গিয়েছিলেন বিএনপি নেতা মো. আসাদুজ্জামান কাজল সহ অন্যান্যরা। আসাদুজ্জামান কাজল চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান আপেল এর আত্মীয় বলে জানাযায়।
নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা সুলতানা নাসরীন (ইউএনও) বলেন, কয়েকটি ক্রেস্ট ভাংচুর করেছে, এছাড়া তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি করেনি। বিষয়টি ইতোমধ্যে আপোষ করে দেয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ ছিনিয়ে নেয়া ব্যাগ ও জিনিসপত্র ফেরত দিয়ে গেছেন তারা।