স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের অবশেষে জামিন মঞ্জুর । বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উচ্চ আদালতে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ মামলায় জামিনের ফলে বাবুল আক্তারের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। আদালতে বাবুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি বাবুল আক্তারের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। কোনো স্বাক্ষী আদালতে তা বলেননি। তা ছাড়া অনেক সাক্ষী জানিয়েছেন, এর আগে তারা সাবেক পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমারের চাপে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য হন।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিন আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। পরে ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জসিম উদ্দিন জামিন নামঞ্জুর করেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পিবিআই সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য দেন। বাবুল আক্তার এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে স্বাক্ষ্য দেন মিতুর বাবা। তদন্তের পর সেই মামলায় আসামি হন বাবুল আক্তার।
পিবিআই এ হত্যাকাণ্ডে এসপি বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা খুঁজে পান। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া শেষ হলে একইদিন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন । ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খান মিতু। মিতুর এই হত্যাকাণ্ড সেই সময় পুরো দেশে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলে। মিতুর হত্যাকাণ্ডে বাদী হয়ে মিতুর স্বামী এসপি বাবুল আক্তার পাঁচশাইশ থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।