বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫

ফকিরহাটে আমনের ক্ষেতে কৃষকের হাসি

চলতি মৌসুমে ৪৫৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে

ফকিরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:১১ পিএম

ফকিরহাটে আমনের ক্ষেতে কৃষকের হাসি

 

বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে আমনের ক্ষেতজুড়ে এখন কৃষকের হাসি। রোপা আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। উপজেলা জুড়েই যেন ধান কাটা আর মাড়াইয়ের। পাশাপাশি বোরো আবাদের প্রস্তুতিও চলছে সমানতালে। সময়মত বোরো বীজ সুবিধা পেয়ে কৃষকেরা তাই মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছে। উচ্চ ফলনশীল সোনালি ধান যে হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখে! 

ফকিরহাট উপজেলার আট ইউনিয়ন জুড়ে এই সময়ে যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকেই কৃষকের ফসলি মাঠ জুড়ে পাকা ধান কর্তন, মাড়াইয়ের উৎসব। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা উৎরে যাবার প্রতিচ্ছবি। মাঠে আছেন কৃষকদের সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। কৃষকদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ । আমন ধান নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে লিফলেট বিতরণ, ভ্রাম্যমাণ ফসল ক্লিনিক সেবা, আলোকফাঁদ, সান্ধ্যকালীন ভিডিও প্রর্দশন, উঠান বৈঠক, দলীয় আলোচনা, সচেতনতামূলক আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করে করেই ধান ফসলের এ প্রতিচ্ছবির বাস্তবতা এনেছেন তারা। 

ফকিরহাট উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৪৫৫০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২০১২০ মেট্রিক টন। ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরনে মাঠে আছেন প্রায় দেড় হাজারেরও অধিক কৃষক।কৃষক ও কৃষি বিভাগ সুত্রে প্রাপ্ত তথ্য ও মাঠের বাস্তবতা বলছে ফকিরহাটে এবছরও আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। পূরন হয়েছে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,  আগাম জাতের আমন ধানের আবাদ করে বিঘাপ্রতি তারা ধান পেয়েছেন প্রায় ত্রিশ মন। অতিবৃষ্টি জনিত প্রতিকূল আবহাওয়ায়ও তাদের সব ধানের উৎপাদন ভালো। উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নে ধান ফসলির মাঠ ছিলো আরো বেশী উদারতায়। রোগ-বালাই বিহীন শক্ত কান্ডের ধানের গোছে পোচ দিয়েছেন উচ্ছ্বসিত কৃষকরা। উপজেলার বাহিরদিয়া, বেতাগা, শুভদিয়া সহ সব এলাকায়ই চলছে আমন উৎসব । এসব এলাকায়ও ধানের উৎপাদন ভালো। 

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ সাখাওয়াত হোসেন বললেন , ফকিরহাটে আমন চাষে কৃষকের আগ্রহে আমি আপ্লুত।দু-দুবার অতিবৃষ্টি জনিত প্রতিকুল আবহাওয়ার ধকল সামলানোর পরও উৎপাদন বা ফলন সেই পর্যায়ে, যাকে বলা যায় বাম্পার ফলন। বীজ সার সহ সরকারি কৃষি সেবা ও পরামর্শের সহজপ্রাপ্তী কৃষকদের দিন দিন আরো আগ্রহী করে তুলুক আমি এই আশা করি। লাভবান হোক কৃষকরা।