সদরপুরে নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র, গ্রেফতার ৪
ফরিদপুরের সদরপুরে নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বহু বিত্তবান ব্যক্তিকে জিম্মি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। জানাযায়, তাদের চক্র প্রথমে রং নাম্বারে অথবা হোয়াটসঅ্যাপে বিদেশী বা দেশী নাম্বার শো করিয়ে মোবাইলে কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। মাঝে মাঝে ভিডিও কলেও তারা বাংলা বা হিন্দি ভাষায় কথা বলে। একটা সময়ে ব্যক্তিটি যখন পুরো প্রেমে পরে যায় তখন দুটি উপায়ে তাকে ফাঁদে ফেলে। একটি হলো হোয়াটসঅ্যাপে ইন্ডিয়ান বা বাংলাদেশী মেয়ে পরিচয় দিয়ে ভিডিও কলে মেয়েটি উলঙ্গ হয়ে বিভিন্ন কিছু প্রদশর্ন করে এবং ওই ব্যক্তিকে উত্তেজিত করে তাকেও উলঙ্গ হয়ে বিভিন্ন কিছু প্রদর্শন করাতে বলে।
ব্যক্তিটি তার ফাঁদে পা দিলে সে তখন স্কৃন থেকে ওই ভিডিও কলটি রেকর্ড করে। পরবর্তীতে সে ভিডিও কলের রেকর্ড করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেওয়ার কথা বলে তাকে জিম্মি করে হাতিয়ে নেয় কয়েক লক্ষ টাকা। আবার কখনো ওই নারী চক্রটি সদরপুর বা পার্শবর্তী এলাকার কোন ব্যক্তিকে টার্গেট করে রং নাম্বারে বা ভিডিও কলে কথা বলা শুরু করে।
কখনো বলে তার বিয়ে হয়নি, কখনো বলে স্বামী বিদেশে থাকে। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিকে এসব কথা বলে প্রেমে ফেলে তাদের কোন নিরিবিলি জায়গায় দেখা করতে আসতে বলে। ব্যক্তিটি তার কথা মতো কোন নিরিবিলি জায়গায় দেখা করতে গেলে তাদের নিজস্ব অটোরিকশায় অথবা সিএনজিতে ঘুরিয়ে তাকে কোন ফাঁকা বাসায় নেওয়ার কথা বলে বা অন্য কিছু বলে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে গেলে চক্রের অন্য সদস্যরা তাকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। পরে তকে উলঙ্গ করে ওই নারীর সাথে ভিডিও ধারন করে।
এর পর তারা খবর দেয় তাদের ভুয়া পুলিশ অফিসার, ভুয়া সাংবাদিক, ভুয়া রাজনৈতিক নেতাসহ ভুয়া স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তাদের কে সাথে নিয়ে কথিত সালিস-দরবার করে কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করে। ব্যক্তিটি টাকা দিতে না চাইলে তার জায়গা জমি লিখে নিতে চায়। তার পরেও সে ব্যক্তি রাজি না হলে তাকে ২/৩ দিন না খাইয়ে রুমের মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। তাকে উলঙ্গ করে পাহাড়ে বেঁধে রাখার হুমকি দেয়। তার মানসম্মান এবং তার পরিবারের মানসম্মান নষ্ট করার কথা বলে নারীসহ তার উলঙ্গ ভিডিও ফেইসবুকে আপলোড করার কথ বলে। একটা সময়ে ব্যক্তিটি উপায় না পেয়ে বাড়ি থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা এনে তাদের দেয় অথবা জায়গায় জমি তাদের নামে লিখে দিয়ে মুক্তি লাভ করে৷
একটি গোপন ভিডিওতে দেখা যায় চক্রটি এক যুবক কে অর্ধেক উলঙ্গ করে নানান ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তাকে টাকা না দিলে পাহাড়ে বেঁধে রাখার হুমকি দিচ্ছে। পরে জানাযায় ওই ভিডিওটি সদরপুরে তাদের এক আস্তানা থেকে করা।এঘটনা ছাড়াও এই চক্রটি ডাকাতি, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চুরি, ছিনতাইসহ নানান অবৈধ কার্যকলাপ করে থাকে।
গত ০৭/১১/২০২৪ তারিখ এই চক্রটির খপ্পরে পরে সদরপুর উপজেলার এক ব্যক্তি মুজাহিদ মৃধা। তিনি এ বিষয়ে সদরপুর থানায় ৮জনসহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সে অভিযোগের উপর ভিত্তি করে গত ১১/০৭/২০২৪ তারিখে একটি মামলা হয় সদরপুর থানায়। যার মামলা নং-০৫। মামলার ধারা ৩৪২,৩৬৪,৩৮৬ ও ৫০৬। মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এস আই তানভীর।
মুজাহিদ মৃধা তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমি মুজাহিদ মৃধা (৩৮), পিতাঃ ওয়াজদ্দিন মৃধা, সাং নলেরটেক (মৃধা বাড়ী), পোঃ চরচাঁদপুর, ইউপিঃ চরবিষ্ণুপুর, থানাঃ সদরপুর, জেলাঃ ফরিদপুর সঙ্গীয় সাক্ষী রফিকুল ইসলাম (পান্নু মৃধা) (৫২), রিফাত মৃধা (২৩), সজিব মোল্যা (৩০) ও কামাল মৃধা (৩২) দেরসহ থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে বিবাদী ১। সোহরার খালাসী (৩৩), পিতাঃ মৃত নানু খালাসী, সাং পূর্ব শ্যামপুর, ইউপিঃ সদরপুর, ২। শেখ ফারুক (৪৮) (সাবেক মেম্বার), পিতাঃ মৃত শেখ ছাদের, ৩। রাশেদ মোল্যা (৩৫), পিতাঃ আক্কাস মোল্যা, উভয় সাং পূর্ব শৌলডুবী, ইউপিঃ কৃষ্ণপুর, ৪। সুদেব বেহারা (৩৫), পিতাঃ মৃত অনিল বেহারা, সাং সাড়ে সাতরশি, ইউপিঃ সদরপুর, ৫। শাহেদ আলী মোল্যা (৪৫), পিতাঃ রহমান মোল্যা, ৬। রেনু বেগম (৪০), স্বামীঃ শেখ ফারুক, উভয় সাং পূর্ব শৌলডুবী, ৭। সাহেব বেপারী (৫০), পিতাঃ মৃত খালেক বেপারী, সাং মটুকচর, উভয় ইউপিঃ কৃষ্ণপুর, সর্বথানাঃ সদরপুর, ৮। সাগর খলিফা (৩০), পিতাঃ মৃত আয়নাল খলিফা, সাং সিংগারডাক, ইউপিঃ চান্দ্রা, থানাঃ ভাংগা ৯। ডালিম (৩৪), পিতাঃ মৃত আলী আজম মাষ্টার (খালেক), সাং বাইশরশি, ইউপিঃ সদরপুর, থানাঃ সদরপুর, সর্বজেলাঃ ফরিদপুরসহ আরো অজ্ঞাতনামা ০৫/০৬ জনের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমি দীর্ঘদিন যাবত দুবাই রাষ্ট্রে থাকি। প্রায় সাড়ে ০৩ মাস পূর্বে দুবাই রাষ্ট্র হইতে বাড়ীতে আসিয়াছি।
অনুমান ০৬/০৭ দিন পূর্বে আমার মোবাইল ফোনে রং নম্বরে অজ্ঞাতনামা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। যাহার বয়স অনুমান ২৩ বছর। সেই সূত্র ধরিয়া অজ্ঞাতনামা মেয়ে প্রায় সময় আমার সাথে মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলিতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ইং ০৪/১১/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় অজ্ঞাতনামা মেয়ে আমার মোবাইল ফোনে ফোন দিয়া সদরপুর থানাধীন বাইশরশি জমিদার বাড়ীতে আসিতে বলে। আমি সরল বিশ্বাসে সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় বাইশরশিতে অবস্থিত সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সামনে মেইন গেইট সংলগ্ন পাকা রাস্তায় গেলে পূর্ব হইতে অপেক্ষামান অজ্ঞাতনামা মেয়েটি একটি অজ্ঞাতনামা অটোবাইকে বসা ছিল। আমি উক্ত স্থানে যাওয়ার পর আমাকে অজ্ঞাতনামা মেয়েটি অটোবাইকে উঠিতে বলে। আমি অটোবাইকে উঠিলে সে আমাকে ঘুরার জন্য যাইতে বলিয়া আমাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিতে থাকে। অটোযোগে ঘোরাফেরার এক পর্যায়ে কিছু দূর যাওয়ার পর কৌশলে উল্লেখিত বিবাদীদের সহযোগিতায় আমাকে দুপুর অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় সদরপুর থানাধীন শৌলডুবী শাকিনস্থ ২নং বিবাদী শেখ ফারুক মেম্বারের বাড়ীতে একটি টিনের ঘরে নিয়া আটকাইয়া রাখে। এক পর্যায়ে উল্লেখিত বিবাদীরা আমাকে এলোপাথারী মারপিট করে এবং চাকু দিয়া মৃত্যুর ভয় দেখাইয়া আমার নিকট হইতে নগদ ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপরে বিবাদীরা আমার মোবাইল ফোন দিয়ে আমার চাচাতো ভাই সানোয়ারসহ আমার স্ত্রী ও নিকট আত্মীয় স্বজনদের নিকট মুক্তিপণ বাবদ ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করে। পরবর্তীতে বিবাদীরা বিকাশ নম্বর ০১৭০৯- ০০৩৭২৪ এর মাধ্যমে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা ও বিকাশ নম্বর ০১৭৩১-৪১৩০৬০ এর মধ্যেমে ১৭,০০০/- (সতের হাজার) টাকা মুক্তিপণ নেয়। এর পর বিবাদী ফারুক ও রাশেদ মোবাইলে আমার চাচাতো ভাই সানোয়ারের সহিত যোগাযোগ করিয়া মুক্তিপণ বাবদ নগদ ১,৫৫,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চান্ন হাজার) টাকা চাঁদা নেওয়ার পরে বিবাদীরা জোর করে ৪টি সাদা নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেয়। বিষয়টি আমার চাচা মোঃ রফিকুল ইসলাম পান্নু মৃধা জানিতে পারিয়া সঙ্গীয় উল্লেখিত সাক্ষী ও স্থানীয় লোকজনদেরকে নিয়া ২নং বিবাদী ফারুকের বাড়ীতে পৌঁছাইয়া রাত্রি অনুমান ০৮.১০ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদী সোহরাব খালাসীকে আটক করে এবং বিবাদীদের কবল হইতে আমাকে উদ্ধার করে। ঐ সময় অন্যান্য বিবাদীরা দৌড়াইয়া পালাইয়া যায়। ১নং বিবাদী সোহরাব খালাসীকে জিজ্ঞাসাবাদে উল্লেখিত বিবাদীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে।
পরে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ২নং বিবাদীর বাড়ীতে আসিয়া ১নং বিবাদীকে আটক করিয়া থানায় নিয়া যায়। উল্লেখিত বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে অজ্ঞাতনামা মেয়েকে দিয়ে আমাকে কৌশলে অপহরণ করিয়া ঘটনাস্থলে আটক রাখিয়া মারধর ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে মুক্তিপণ বাবদ মোট ১,৯৫,০০০/- (এক লক্ষ পঁচানব্বই হাজার) টাকা চাঁদা আদায় করে। আমি চিকিৎসা নিয়া ও বিবাদীদের নাম- ঠিকানা যাচাই করিয়া এবং আমার আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
এ এজাহার দায়ের করার পরে মামলা হলে সদরপুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ২নং আসামী শেখ ফারুক (৪৮), (সাবেক মেম্বার) এর স্ত্রী রেনু বেগম কে গ্রেফতার করে। পরে রেনু বেগম ও ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা ১নং আসামী সোহরার খালাসী (৩৩) কে ফরিদপুর জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। পরবর্তীতে ওই নারী চক্রের অন্যতম প্রধান সদস্য লিমা আক্তার কে এবং রবিন নামের এক যুবক কে গ্রেফতার করে ফরিদপুর জেল হাজতে প্রেরন করে সদরপুর থানা পুলিশ। ভাঙ্গা থানার আরো এক যুবক কে এ মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হলেও তিনি ২০/২৫ দিনের মাথায় জেল থেকে জামিনে বেড়িয়ে গেছেন বলে জানাযান।
মধ্যমে জানাযায় সদরপুর উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামে হাসেন শেখের মেয়ে সেতু আক্তার এই চক্রের অন্যতম সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের সাথে কাজ করে নিজের একাউন্টে ২০/২৫ লক্ষ টাকা জমিয়েছেন। এই সেতুর বিষয়ে তার বাড়িতে খোঁজ নিতে সাংবাদিকরা গেলে সেতু সাংবাদিকদের নানান হুমকি ধামকি দেন। তিনি বলেন, তাকে নিয়ে কোন সংবাদ প্রচার করা হলে বা তার পরিবার কে জানালে তিনি গলায় ফাঁশ দিয়ে আত্নহত্যা করবেন। তার দেওয়া হুমকির বিষয়টি সদরপুর থানার ওসি মোঃ আব্দুল মোতালেব হোসেন কে জানানো হলে সেতু তার শশুর বাড়ি খুলনায় পালিয়ে যায়। জানাযায়, সেতুর স্বামী একজন প্রবাসী। সেতু খুলনা পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় কয়েক জন যুবক কে সাংবাদিকদের কাছে পাঠিয়ে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। সাংবাদিকরা এ অনৈতিক কাজে সম্মতি না জানালে তাদের বিরুদ্ধে নানান আজেবাজে কথা বলে। জানাযায় একটি মহল সাংবাদিকদের মিটানোর কথা বলে মোটা অংকের টাকা সেতুর কাছ থেকে ইতিমধ্যে হাতিয়ে নিয়েছে।
সাংবাদিকরা এই মামলার বিষয়ে প্রতিটি আসামীর খোঁজ নিতে ইনভেস্টিগেশনে নামলে দেখা যায় মামলার ৪নং সুদেব বেহারা (৩৫) একজন বেকার যুবক হওয়া সত্ত্বেও বিশাল এক বাড়ি নির্মাণ করেছেন তার পৈতৃক ভিটায়। সে বাড়ির ছবি তোলা হলে সুদেব তার বড় ভাই গোপাল বেহারা কে সাংবাদিকদের নিকট পাঠিয়ে সংবাদ না প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ জানায়।
সাংবাদিকরা ২নং আসামী শেখ ফারুক (৪৮) (সাবেক মেম্বার)সহ আরো কয়েকজন বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখে এরা সবাই এই অবৈধ টাকা দিয়ে বাড়িতে বড় বড় বিল্ডিং করেছে এবং দামি দামি মোটরসাইকেল ক্রয় করেছে। এলাকাবাসী বলেন এদের ঘোরাফেরা দেখে মনে হয় এরা এখন কোটি টাকার মালিক।
এই চক্রের বিষয়ে এলাকাবাসীর ও ভুক্তভোগী কয়েকজন বলেন, এই চক্রকে যদি দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা হয় তবে আরো বহু ব্যক্তি এই চক্রের খপ্পরে পরে নিজের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলবেন।
এ ব্যাপারে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা এস এই তানভীর বলেন, এখন সোর্সের ভীষণ অভাব, তাই বাকি আসামীদের গ্রেফতার করতে একটু সময় লাগছে। তবে শীঘ্রই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মোতালেব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় ইতিমধ্যে আমরা ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছি। বাকিদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শীঘ্রই আমরা এই চক্রটিকে ধরে ফেলবো।