রাজধানীতে ১০ টাকায় মোড়ক পোলাও
আব্দুল হালিম
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
অর্থ থাকলেও অনেকে নিজে খেতে পারে না, আবার অন্যকেও খাওয়াতে পারে না। যেখানে ১ কেজি গোল আলুর দাম ১০০ টাকা সেখানে ১০ টাকায় ১ বেলা দুপুরে মোড়গ পোলাও খাওয়াচ্ছে এক দল যুবক। হতদরিদ্রদের মাঝে পেট ভরে স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত খাবার দিয়ে নজির বিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর অঞ্চলের খিলক্ষেত থানা এলাকার টানপাড়া পুরান বাজার স্পোটিং ক্লাবের সদস্যরা।
প্রতি মাসে, সপ্তাহে বা পনেরো দিনে ১ বার দরিদ্র অসহায়দের জন্য ১০ টাকার বিনিময়ে খাবার আয়োজন করে ক্লাব সদস্যরা। তরুন যুবকদের এমন মহতি উদ্যোগ দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হচ্ছে এবং ক্লাবের সদস্যরা প্রশংসায় ভাসছে। ১০ টাকায় উন্নত খাবার পেয়ে দরিদ্র ছেলে মেয়ে ও বয়স্কদের মাঝে খাদ্যে তৃপ্তি ও উৎফুল্লভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দুই থেকে তিনশত লোকের খাবার আয়োজনে প্রচুর পরিকল্পনা ও উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে কার্যক্রমের নিয়মিত পরিচালনা এখানকার তরুন ও যুবকরা
এই কার্যক্রমের মুলউদ্যোক্তা পুরান বাজার স্পোটিং ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ক্লাবের সকল সদস্যরা অত্যান্ত আন্তরিক ও মানবিক হয়ে এই মহতি সামাজিক অনুষ্ঠানটি সফল করে তোলেন। এ কার্যক্রমে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যারা শ্রম দিচ্ছেন তারা হলেন, এমদাদুল ইসলাম বাবু, রাশেদুল ইসলাম, মোঃ শুক্কুর আলী, মোঃ সাদিব, মোঃ মামুন, মাজাহারুল ইসলাম, জাইদুল ইসলাম।
প্রতি সপ্তাহে বা ১৫ দিন পর ১ বার খাবারের ভিন্নতা বা ম্যানু পরিবর্তন হয়। এতে মোড়গ পোলাও গরুর মাংস ও সালাত, তবে নিঃসন্দেহে ১০ টাকায় স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে নিয়মিত ।
মুল উদ্যোক্তা বাবু বলেন বৃত্তবানদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেলে হতদরিদ্রদের মাঝে নিয়মিত ভাবে প্রতিদিন ১ বেলা উন্নত খাবার তাদের মুখে তুলে দিতে পারবো। স্বল্প পরিসরে দীর্ঘদিন থেকে ১০ টাকার বিনিময়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য কার্যক্রম আমরা চালু রেখেছি। হতদরিদ্র অনেকে এক বেলা মাছ, মাংস, পোলাও কিনে খেতে পারে না। তাই আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ থেকে সামথ্য অনুযায়ী ১০ টাকায় ১ বেলা খাদ্য কার্যক্রম চলমান রেখেছি।
আমাদের প্রত্যাশা, বৃত্তশালীরা এই মহতি সামাজিক কাজে অংগ্রহন করে অসহায় দরিদ্রদের পাশে দাড়াবেন তবেই আমরা নতুন উদ্যোমে আমাদের লক্ষ্যে পৌছতে পারবো। চলমান এই কার্যক্রমটি শুধু চলতি ডিসেম্বর ১ মাস বন্ধ থাকবে এবং আগামী জানুয়ারী (২০২৫) থেকে পুর্নরায় কার্যক্রম যথারীতি চলমান থাকবে।