উপজেলার রাজাবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে জমি বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে সোহেল ও প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বলছে, দাতা সদস্যের ছেলে সোহেল ও প্রধান শিক্ষক কাজী সোহরাব হোসেন যোগসাজশে একই বিদ্যালয়ের তৎকালীন সভাপতি দুলাল উদ্দিন কাছে স্কুলের জমি বিক্রি করেছে। যা দুলাল উদ্দিন লেচু বাগান করে ভোগ করছে। প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মৃত মতিয়ার রহমানের মেয়ের জামাই ও সোহেল তার ছেলে। এর আগেও শালা-দুলাভাই মিলে স্কুলের মাঠ ঘেঁষে পশ্চিমপাশের জমি বিক্রি করেছিল এবং এলাকাবাসীর চাপে ক্রেতা তা স্কুলে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
নামে রেকর্ড ৭৫ শতাংশ জমি স্কুলের বেদখলে। যা এখনো দাতা সদস্যরাই ভোগ করছে। এ ব্যাপারে মৃত মতিয়ার রহমানের পরিবার বলছে ৬০ শতাংশ জমিতে জমিদারদের মামলা আছে। অপরদিকে ১৫ শতাংশ জমি এখনো জমিদাতা ও সাবেক সভাপতি দুলাল উদ্দিনের দখলেই রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নিজের দায় এড়াতে বেশ কয়েকজন ব্যাক্তির নাম বলেন যারা বিভিন্ন সময় ওই জমিতে দখলে যেতে বাঁধা দিয়েছেন অথচ তাদের কেউই বর্তমানে জীবিত নেই। তৎকালীন সভাপতি দুলাল উদ্দিন বলেন, যে কোনো সময় ইচ্ছে করলেই তার দেওয়া ১৫ শতাংশ জমি বিদ্যালয় দখলে নিতে পারবে। বিদ্যালয়ের জমি কেনা নিয়ে তিনি আরও বলেন, স্কুলের পেছনের জমি সোহেলের বলেই আমি জানতাম। তবে ক্রয় করা জমি যদি স্কুলের হয়ে থাকে তাহলে তা ফেরত দেওয়া হবে।
স্কুল প্রতিষ্ঠাতার ছেলে সোহেল বলেন, ওই জমি তার বাবা মারা যাওয়ার সময় দুই ছেলের নামে ওছিয়ত করে গেছে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।