নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ভেঙ্গে যাওয়া স্লুইস গেইট দ্রুত নির্মাণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম শিকদার।
মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিকদার বলেন, গত ২৬ আগষ্ট প্রবল বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মুছাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণাঞ্চল রেগুলেটর এলাকার স্লুইস গেইট ভেঙ্গে নদীর তলদেশে চলে যায়। আজ ৪ মাস অতিবাহিত হতে চলল কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্লুইস গেইট নির্মানের কোন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
তিনি অতিদ্রুত স্লুইস গেইট নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মুছাপুর স্লুইস গেইট অত্র এলাকার মানুষের যানমাল রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি দ্রুত নির্মাণ না করলে নদীর পশ্চিম পাশের শত শত ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, মাছের প্রজেক্ট, গরুর খামার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। এলাকার শত শত মানুষ ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি হারিয়ে যাযাবরের মত জীবন যাপন করছে।
তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত এ অসহায় মানুষদের সরকার পুনর্বাসনের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। শিকদার দাবী করেন, ক্লোজার নির্মাণ কাজে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করা হলে তা এলাকার কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, এ এলাকায় জিআই ব্যাগে বলু না দিয়ে মাটি দেওয়া হচ্ছে। এর কাজ দেওয়া হয়েছে সোনাগাজী উপজেলার আওয়ামী সন্ত্রাসী অনুকে। এ কাজটি বরাদ্ধ হলেও কাজের গতি কচ্ছপের গতিতে চলছে। এভাবে কাজ চলতে থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে পুরো কোম্পানীগঞ্জ নোনা পানিতে ডুবে যাবে।
তিনি বলেন, দ্রুত পূর্ব প্রান্ত কেটে পশ্চিম প্রান্তে ব্লক দিয়ে বরাটের কাজ করতে হবে। যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এ কাজ দেওয়া হচ্ছে তারা সঠিকভাবে কাজ করতেছে না। নদীর পূর্ব পাশ চরে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে পশ্চিম পাশ ভেঙ্গে যাচ্ছে। পূর্ব পাশ পুরোটাই ড্রেজিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে পশ্চিম পাশ ভেঙ্গে মুছাপুর, চরহাজারী, চরপার্বতী, চরফকিরা ভেঙ্গে কম সময়ের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ছোট হয়ে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে হাজার হাজার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মাইন উদ্দিনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।