কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম
বাংলাদেশের এই ভূখণ্ডের ইতিহাস বার বার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। এই ভূখণ্ডের ইতিহাস জীবন দেওয়ার ইতিহাস। এই ভূখণ্ডের ইতিহাস স্বাধীনতা-মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ তিতিক্ষার ইতিহাস। বর্তমান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের সামনে দুটি রাস্তা খোলা, হয় মাতৃভূমি রক্ষা করবো না হয় শহীদ হবো। ইসলামি ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত বিজয় র্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এমন মন্তব্য করেছেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের আয়োজনে
বিজয় র্যালি শুরু হয়। র্যালিটি নগরীর ওয়াসা, জিইসি হয়ে দুই নম্বর গেইট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। র্যালি শেষে দুই নম্বর গেইট এলাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, ‘৪৭ এ একবার আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলাম। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকদের শোষণের কারণে আমরা সে স্বাদ বেশিদিন ভোগ করতে পারিনি। এরপর ১৯৭১ এ এ দেশের মানুষ জীবন দিয়ে আবারও স্বাধীনতা অর্জন করলেও শেখ মুজিব এদেশে বাকশাল কায়েম করে। এরই ধারাবাহিকতায় তার কন্যা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে। এ ফ্যাসিবাদের অংশ হিসেবে তিনি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করে। শুধু তাই নয়, এদেশকে নেতৃত্ব শূন্য করতে জামায়াত নেতাদের নির্মমভাবে হত্যা করে। সবশেষে ২৪ এর জুলাই-আগষ্টের বিপ্লবে দেশপ্রেমী ছাত্রজনতার ওপর গণহত্যা চালায়।’
ভারতকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রশিবিরের এ নেতা বলেন, ‘তারা সীমান্তে আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করছে। বর্ষাকালে নদীর বাঁধগুলো খুলে দিয়ে এদেশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী করছে। যদি এদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র হয় তাহলে ছাত্রশিবির রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে।’
এ-সময় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা সম্পাদক উসামা রাইয়ান, ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, নগর দক্ষিণের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নাহিদুল ইসলাম।