কামরুল হাসান, চট্রগ্রাম

চিকিৎসায় অবহেলায় গর্ভাবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষকের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে দামি হাসপাতাল হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে এভারকেয়ার হাসপাতালের। অন্যদিকে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সারাবাংলা রিলেটেড নিউজ

পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ক্যাম্পাসে এলেই ক্ষোভের মুখে পড়ছেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

ফটিকছড়িতে ৮ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই

ঘাটাইলে ৬টি ইটভাটায় ২২লাখ জরিমানা

২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চবির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু বকর ছিদ্দিক।

এ-সময় তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর ডেলিভারির জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা চিকিৎসায় গাফিলতি করে। যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানোর কথা তিনিও অনেক দেরিতে আসেন। তাছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাচ্চা মারা যাওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণও দেখাতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রী এভারকেয়ার হাসপাতালের গাইনি বিষয়ক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সানজিদা কবিরের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তার সব রিপোর্টই ঠিকঠাক ছিল। আমরা এটাও বলি যে, নর্মাল ডেলিভারি সম্ভব না হলে যেন সিজার করে ফেলা হয়।’

চবির এ শিক্ষক বলেন, ১৯ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৪টার দিকে আমার স্ত্রী প্রসব বেদনা অনুভব করেন। আমরা ভোর সাড়ে ৫টায় এভারকেয়ারে পৌঁছাই। তখনই ডা. সানজিদা কবিরকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করি। উনি জরুরি বিভাগে ভর্তি হতে বলেন। তিনিও শিগগিরই চলে আসবেন বলে আমাদেরকে জানান। কিন্তু তিনি আসেন সকাল সাড়ে ৯টায়। পরে ১০টা ৫২ মিনিটে নবজাতক বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তার বললেন, মৃত বাচ্চা প্রসব হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ডা. সানজিদা কবির আসার আগেই সাধারণ ডাক্তারদের আনাড়িপনায় গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

আবু বকর ছিদ্দিক অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘সুস্থ বেবির হার্টবিট হঠাৎ কেন বন্ধ হয়ে গেল, তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা তারা দিতে পারছেন না। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন সানজিদা কবিরকে আসতে আদেশ না করে সাধারণ ডাক্তার দিয়ে ডেলিভারির ব্যবস্থা করলেন তাও পরিষ্কার নয়।

এ-দিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এভারকেয়ার হাসপাতালের হেড অব মেডিকেল সার্ভিস এন্ড কোয়ালিটি কন্ট্রোল ডা. তাহমিনা বলেন, ‘এখানে অবহেলার কোনো কিছুই হয়নি। অভিযোগ যেটা এসেছে সেটা ভিত্তিহীন। তবুও সেটার তদন্ত হচ্ছে। এখানে সব প্রটোকোল মেনেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। আর ডা. সাবরিনা যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ তিনি খুবই আন্তরিক ও কমিটেড। তবুও যদি কোনো অবহেলার ঘটনা ঘটে সেটা আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।