শুক্রবার, জানুয়ারী ৩১, ২০২৫

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হলেন শারা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হলেন শারা

সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ অভিযানের শীর্ষ নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে সিরিয়ার বর্তমান এই ডি ফ্যাক্টো নেতাকে।

বাশার ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যান্য সামরিক গোষ্ঠীর কমান্ডার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বুধবার এক বৈঠকে শারা-কে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স এবং এএফপি। ‘সিরীয় বিপ্লবের বিজয়’ নামের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শারা নিজেও।

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থা সানা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশের প্রেসিডেন্ট থাকবেন শারা।  নির্বাচনের ভিত্তিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গণে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে সিরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।’

বাশার ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেওয়া অন্যান্য সামরিক গোষ্ঠীর কমান্ডার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বুধবার এক বৈঠকে শারা-কে অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স এবং এএফপি। ‘সিরীয় বিপ্লবের বিজয়’ নামের সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শারা নিজেও।

সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থা সানা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘আগামী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশের প্রেসিডেন্ট থাকবেন শারা।  নির্বাচনের ভিত্তিতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গণে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান হিসেবে সিরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করবেন তিনি।’
এছাড়া বাশার আল আসাদের পতনে যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী অংশ নিয়েছিল, সেসব বিলোপ এবং ওই গোষ্ঠীগুলোর সদস্যদের সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বুধবারের বৈঠকে। বস্তুত, বিগত সরকারের পতনের পর রীতিমতো ভেঙে পড়েছে সিরিয়ার সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  

গত ডিসেম্বরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও কয়েকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দুর্দান্ত অভিযানে পতন ঘটে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের এবং সপরিবারে দেশ থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন আসাদ। আহমেদ আল শারা ছিলেন সেই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামসের প্রধান সংগঠক এবং শীর্ষ কমান্ডার।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে শারা বলেন, সিরিয়ার সরকার ব্যবস্থায় বর্তমানে যে শূন্যতা চলছে, তা বৈধ এবং আইনানুগভাবে পূরণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সিরিয়ায় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার আসার পথকে সুগম করা এবং সে জন্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে আমূল সংস্কারের প্রয়োজন। এসব সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের আয়োজন করতে ৪ বছর কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি সময় প্রয়োজন হতে পারে বলে ভাষণে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

শারা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সিরিয়ার জন্য নতুন সংবিধান গ্রহণ করা হবে এবং শুধু এই সংবিধান লিখতেই সময় লাগবে ৩ বছর।

আহমেদ আল শারার পুরো নাম আহমেদ হুসাইন আল শারা। ১৯৮২ সালে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তাঁর বাবা সেখানে পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৮৯ সালে তার পরিবার সিরিয়ায় ফিরে আসে এবং দামেস্কের অদূরে বসতি স্থাপন করে।

দামেস্কে থাকাকালে শারা কী করতেন, তা জানা যায় না। ২০০৩ সালে সিরিয়া থেকে ইরাকে এসে তিনি আল-কায়েদায় যোগ দেন। এই বছরই যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালায়। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন। তখন থেকে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ‘আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি’ ছদ্মনাম নিয়েছিলেন শারা।

২০১৬ সালে আল কায়েদা থেকে বেরিয়ে আসেন শারা। আল কায়দার অন্যতম ব্রিগেড নুসরা ফ্রন্টের একাংশও তার সঙ্গী হয়। ২০১৭ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠী জাভাত ফাতেহ আল শাম গঠন করেন তিনি। পরে নাম পরিবর্তন করে ওই গোষ্ঠীর নাম রাখা হয় হায়াত তাহরির আল শামস বা এইচটিএস। এই গোষ্ঠীটির নেতৃত্বেই এক ছাতার নিচে এসেছিলেন বাশার আল আসাদের পতন অভিযানে সক্রিয় সব দল ও গোষ্ঠী।