বুধবার, ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৫

সেনাপ্রধানকে ইমরানের চিঠি দেওয়ার বিষয়টি ‘ভিত্তিহীন’

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম

সেনাপ্রধানকে ইমরানের চিঠি দেওয়ার বিষয়টি ‘ভিত্তিহীন’

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছ থেকে কোনও চিঠি পাওয়ার কথা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছে দেশটির নিরাপত্তাবিষয়ক সূত্রগুলো। সেইসঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান সাইদ আসিম মুনিরকে ইমরানের চিঠি লেখা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলেও উড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সামাটিভি। 


নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মতে, সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত দাবির কোনও সত্যতা নেই যে ইমরান খান সেনাবাহিনী প্রধান (সিওএএস) জেনারেল আসিম মুনিরকে চিঠি লিখেছেন। 
 

তারা আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এ জাতীয় কোনও চিঠি এখনও পাওয়া যায়নি, এবং সংস্থাটি এটি পড়তে আগ্রহীও নয়।


নিরাপত্তাবিষয়ক সূত্র আরও বলেছে, ‘পিটিআই চিঠি লেখার নামে আরেকটি ব্যর্থ নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করেছে’। তারা পুনর্ব্যক্ত করেছে, এমনকি যদি এ ধরনের কোনও চিঠি পাঠানো হয়, তবুও তা গ্রহণ করা হবে না।


কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, ‘তারা ধারাবাহিকভাবে তাদের অবস্থান বজায় রেখেছে। পিটিআই যদি কিছু আলোচনা করতে চায় তবে তা রাজনীতিবিদদের সঙ্গে করা উচিত, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নয়। ’


পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলী খান সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আদিয়ালা কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেনাবাহিনী প্রধান সাইদ আসিম মুনিরকে চিঠি লিখে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সামরিক বাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। ’ 


তিনি বলেন, ‘চিঠিতে ইমরান খান এই দূরত্ব বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন এবং তা কমানোর জন্য কিছু পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগের প্রশংসাও করেছেন। ’ 

ব্যারিস্টার গওহর বলেন, ইমরান খান চিঠিতে সেনাপ্রধানকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে তিনি শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, বরং দেশের ‘সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা’। এ কারণে জনগণ ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে দূরত্ব বাড়ার বিষয়টি তিনি সামনে এনেছেন।  


চিঠিতে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা ও সাম্প্রতিক নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েও কথা বলা হয়েছে। এর আগে, গত ৩১ জানুয়ারি ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে ২৪৯ পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছিল।