মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশের জন্য বিশাল এক বোঝা। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত সমাধান করতে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

একইসাথে এই সমস্যা সমাধানে ভারত মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছেন।

সাক্ষাৎকারটি রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) এএনআইয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে লক্ষাধিক রোহিঙ্গার উপস্থিতি তার শাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। 

প্রধান সংবাদ রিলেটেড নিউজ

রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী হলেন মো. নুরুল ইসলাম

অবৈধ ইলং কারখানা: দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কোথায় ওবায়দুল কাদের?

৭ মাসে দেশ ছেড়েছেন ৪০ হাজার ইজরায়েলি

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি জানেন... আমাদের জন্য এটি একটি বড় বোঝা। ভারত একটি বিশাল দেশ; তারা রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হলেও সেখানে খুব বেশি শরণার্থী নেই। আমাদের দেশে... আমরা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করছি, যে তাদেরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা দেশে ফিরে যেতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার মানবিক দিকটি মাথায় রেখে বাস্তুচ্যুত এই সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভালো রাখার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলছেন, মানবিক কারণে আমরা এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি এবং সকল রকমের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি। এমনকি করোনা মহামারির সময়, আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সবাইকে টিকা দিয়েছি। আচ্ছা বলুন তো তারা আর কতদিন এখানে থাকবে? এমনিতেই আমাদের দেশের পরিবেশ বিপজ্জনক। তার মঝ্যে আবার সেখানে কিছু লোক মাদক পাচার বা নারী পাচারের বা অস্ত্র সংঘাতের সঙ্গে জড়িত। দিনকে দিন তা বেড়েই চলেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি তারা দেশে ফিরতে পারে, তা আমাদের দেশের জন্য এবং মিয়ানমারের জন্যও মঙ্গলজনক। তাই আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা তাদের সঙ্গে এবং আসিয়ান বা ইউএনও-সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গেও আলোচনা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, ‘এখন তাদের (রোহিঙ্গাদের) দেশে ফিরে যাওয়া উচিত। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত এই কাজে মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।’

সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনাকে নদীর পানি বণ্টনে ভারতের সঙ্গে তার দেশের সহযোগিতার বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেগুলো এমন কিছু নয় যা পারস্পরিকভাবে সমাধান করা যায় না। 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, দুই দেশ গঙ্গা নদীর পানি ভাগ করে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘শুধু গঙ্গার পানিই আমরা ভাগাভাগি করেছি। এই পানির বিষয়ে আমরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছি। কিন্তু আমাদের আরও ৫৪টি নদী আছে। হ্যাঁ... এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা, তাই এটি সমাধান করা উচিত।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে চারদিনের ভারত সফর শুরু করতে যাচ্ছেন।