জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
(১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ।
সাজেদা চৌধুরী বহুদিন ধরেই ডিমেনসিয়া রোগে ভুগছিলেন। সৈয়দা সাজেদা নিকটাত্মীয়সহ পরিচিত কাউকেই চিনতে পারতেন না। উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যা রাজধানীর সিএমএইচে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।
সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক জানিয়েছেন। এছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ-সদস্যসহ দলীয় নেতারা শোক জানিয়েছেন। এছাড়াও প্রবীণ এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা রাতেই হাসপাতালে ছুটে যান।
ফরিদপুর ২ আসনের সংসদ-সদস্য সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তার স্বামী ছিলেন রাজনীতিবিদ এবং সমাজকর্মী গোলাম আকবর চৌধুরী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর সংকটময় মুহূর্তে দলকে সংগঠিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী। ১৯৭৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯২ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।