মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ১২ লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেয়ার কারণে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা, শান্তি, অর্থনীতি, সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে ৪৬তম ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি’স ম্যানেজমেন্ট সেমিনারে (আইপিএএমএস) অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের নাগরিকদের দীর্ঘদিনের অবস্থানের কারণে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তাসহ সব ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত না পাঠাতে পারলে দেশ অনিরাপদ হয়ে উঠতে পারে।
সরকার প্রধান বলেন, আমরা শান্তি ও জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। শান্তিরক্ষা আমাদের সাংবিধানিক অঙ্গীকার। তাই আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। মিয়ানমারকে অনুরোধ করছি তারা যেন তাদের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতিকালে বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ইস্যু। আমরা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই কাজ করতে চাই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় বাংলাদেশ এই নীতিতে বিশ্বাস করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আইপিএএমএস একটি বহুজাতিক প্ল্যাটফর্ম যা বন্ধুত্ব এবং উষ্ণতার অনুভূতি তৈরি করতে পারে যাতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করে। আইপিএএমএস সব সময় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বন্ধুত্ব বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, আমি মনে করি, এই ফোরামের মাধ্যমে পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া বাস্তবসম্মত বহু-পার্শ্বিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য সাধারণ স্বার্থের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, যে কোনো দেশের সেনাবাহিনী সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার অন্যতম উপাদান। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সময়ের সাথে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি করেছে। শান্তি কার্যক্রমে অবদানের জন্য বাংলাদেশ আজ বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাফল্যের জন্য একটি ‘ডেভেলপমেন্ট মিরাকাল’ হিসাবে স্বীকৃত। বিশেষ করে দারিদ্র্য হ্রাস, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু শান্তির সুবিধায় বিশ্বাসী এবং জনগণের শক্তির ওপর নজর দিয়েছে, তাই অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় আমাদের বৈদেশিক নীতি থেকে শক্তি নিয়ে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট।