_সায়মন শেখ_
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে নতুন বছরের আগমনে ও বছরের শেষ রাতটি'কে স্মরণীয় করে রাখতে আনন্দে মাতোয়ারা ছিলো চট্টগ্রাম নগরীর মানুষ। সরকারের পক্ষ থেকে ছিলো বিধি-নিষেধ। কিন্তু কোন বাঁধাই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি। সন্ধ্যা নামতেই নগরীর অলিগলিতে দেখা গেছে উৎসবের নমুনা। রাত ১০টার পর থেকে অনেকে অবস্থান নিয়েছেন বিভিন্ন ভবনের ছাদে। শুরু হয় গানবাজনা। ক্রমেই সড়ক ও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই ২০২৫ এর শুরুতে রাতের আকাশে ছিলো রঙিন আতশবাজি। রঙ-বেরঙের আতশবাজির ঝলকানিতে বর্ণিল হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের আকাশ। একযোগে বিভিন্ন বাসা-বাড়ির ছাদ থেকে পোড়ানো শুরু হয় আতশবাজি। পাশাপাশি পটকার শব্দে প্রকম্পিত হয়েছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা। তবে এই আনন্দের মাঝেও ছিলো শব্দ দুষণ আর কিছু দুর্ঘটনা। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, আতশবাজি ও পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ থাকলেও সেগুলোর প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। পুলিশের টহলও তেমন দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ। ফলে নির্বিচারে এলাকাগুলোতে পটকা ও আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে
এদিকে সাধারণ মানুষ এই অতিরিক্ত শব্দের কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা যায়, নগরীর আগ্রাবাদ, কাজিড় দেউড়ি, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, কোতোয়ালী, খুলশী, আকবর শাহ, হালিশহর, বন্দর ও পতেঙ্গাসহ প্রায় সব এলাকাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফুটানো হয়েছে আতশবাজি, পটকা। কিছু কিছু স্থানে উড়ানো হয়েছে ফানুস। অন্যদিকে, নগরবাসীর অনেকে ঘরোয়াভাবে নানা আয়োজনে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫-কে স্বাগত জানাচ্ছেন। আতশবাজি-ফানুস না উড়ালেও তাদের আনন্দ-উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। অনেকে বাসার ছাদে বারবিকিউ পার্টি, কেক কাটাসহ নানা আয়োজন করেছেন।
হালিশহরের এক বাসিন্দা জানান, প্রতি বছরই ফানুস উড়ানো এবং পটকা আর আতশবাজি ফোটানোতে নিষেধাজ্ঞা থাকে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিবারের মতো এবারও বিভিন্ন এলাকায় ফানুস উড়ানো হচ্ছে এবং আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে। এতে করে অগ্নিসংযোগের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও কীভাবে ফানুস উড়ানো হয় কিংবা আতশবাজি ফোটানো হয় এমন প্রশ্ন জনমনে।
এমন উদযাপন থেকে প্রতিবছর ঘটছে দুর্ঘটনা। এ বছর ও বেশ কয়েক জায়গায় দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকালে আতশবাজি ও ফানুস উড়াতে গিয়ে রাজধানীতে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে হয়েছেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আতশবাজি ও পটকার ব্যবহার থামানো যাচ্ছে না।