ফেনীর রামপুর ১৮ নং ওয়ার্ডে লাতু মিয়া সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাগলিছড়া খাল। এটি একটি ফেনী নদীর শাখা শহরের ড্রেনের পানি যাতায়াতের পথ-প্রর্যাপ্ত ডাস্টবিনের ব্যবস্থা না থাকায় বাসা-বাড়ীর বেশিরভাগ বজ্র ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে খালে ফলে নানারকম দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, দেখা দিচ্ছে রোগ-ব্যাধি।
অপরদিকে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর পলিথিন বর্জ্যের দূষণে হুমকির মুখে পাগলিছড়া খালের আশপাশের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে যায়, ফেনী পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের প্রায় পৌনে এক লাখ মানুষের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই পাগলিছড়া খাল। অথচ ময়লা আবর্জনায় পুরো খালটিই এখন ভরাট হয়ে যাওয়ার পথে। যেন দেখার কেউ নেই! এখানকার ভূমি অফিস ও সরকারী নকশা অনুযায়ী এ খালের গড় প্রস্থ ১৮ ফুট। কিন্তু অবৈধ দখলদারদের যাঁতাকলে পড়ে স্থানভেদে এর প্রস্থ দাঁড়িয়েছে এখন ৪ থেকে ৬ ফুটের ড্রেনে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ প্রিয় হাছান জানান
পলিথিনের পরিত্যক্ত ব্যাগ শহরের পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
আর একজন স্থায়ী বাসিন্দ মোঃ পারুক বলেন পলিথিন ও বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য ব্যাপক ব্যবহার ও যত্রতত্র ফেলার কারণে রাস্তাঘাট, খালবিল, নদীনালা থেকে শুরু করে সমুদ্র পর্যন্ত ছড়িয়ে পডেছে। মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর থেকে পরিত্রাণ না হলে ফেনী পৌরসভার অনেক বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ফেনী পৌরসভার মেডিকেল অফিসার ডাক্তার, কে পি,সাহ বলেন।এর আগে আমাদের একটি টিম এই খাল পরিস্কার এর কাজে নিয়োজিত ছিল,এই কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ আছে।তবে,এই খাল নিয়ে আমরা আবার কাজ শুরু করবো। অন্য দিকে স্থানীয় বাসিন্দারাও একটু পরিবেশের দিকে নজর রাখা দরকার।।
স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া জরুরি।