কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে লবণ উৎপাদন মৌসুম।কক্সবাজার সদর ভারুয়া খালি খুরুস্কুল চৌফল দন্ডী মাছুয়াখালী মহেশ খালী কুতুবদিয়া টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সহ পুরো জেলায় লবণ মৌসুম। আকাশের অবস্থা ভালো থাকায় এই মৌসুমে লবণ উ্যপাদন ভালো হচ্ছে। লবণ উ্যপাদন ভালো হলেও চাষীরা ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না। বিভিন্ন স্হানে লবণের দালাল রা চাষীদের ন্যয্য মুল্য থেকে বঞ্চিত করছেন। মাছুয়াখালীর লবণ চাষী আলী হোছেন জানিয়েছেন এই মৌসুমে মনে হচ্ছে লবণ ভালো উ্যপাদন করতে পারবো কিন্তু লবণের ব্যবসায়ীরা আমরা যারা মাঠে আছি তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ঠকিয়ে যাচ্ছে মুল্য দিতেই চায়না। বাজারে লবণের দাম থাকলেও মাঠে ন্যয্য মুল্য দিতে অশিক্ষিকৃতি জানায়।এই বছর প্রতি কানি লবণের মাঠ নিতে হয়েছে ৫০/৬০ হাজার টাকা করে। গড়ে প্রতি কানি লবণ মাঠে ২ শ ৩ শ মন লবন উত্তোলন করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। তারপর ও লবনের দালাল রা আমাদের কে লবনের সঠিক মুল্য দেয় না আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই সঠিক মুল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য।
দেশে এ বছর লবণের চাহিদা ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন। এ চাহিদার যোগান দিতে চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছেকক্সবাজারে । আগামী মে মাস পর্যন্ত সাগরের লোনাপানি শুকিয়ে কক্সবাজার সদর, রামু কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, টেকনাফ উপকূলে লবণের চাষ করা হচ্ছে পুরোদমে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানিয়েছে, বর্তমানে পুরো জেলায় লবণ মৌসুম শুরু হয়েছে।
মহেশখালীর লবণ চাষি রশিদ আহমেদ বলেন, এ মৌসুমে ৪ একর লবণের মাঠে উৎপাদনে শুরু করেছেন। মাঠে কাজ করছেন চাষীরা।
চাষিরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন , এখনও লবণের দাম কম, তবে আমদানি বন্ধ রয়েছে। লবণ চড়া দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে তারা মনে করেন। সরকারের দায়িত্বশীলদের কাছে দাবী জানান যাতে করে বিদেশ থেকে কোন লবণ আমদানি করা না হয় তখন চাষিরা তাদের ন্যায্য মুল্য পাবে লবনের ।
বিসিক কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের উপ- মহাব্যবস্থাপক জাফর ইকবাল ভুঁইয়া জানান, গত মৌসুমে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছিল ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে।
দেশে আরও ৪ লাখ ১ হাজার ৭৮৫ টন লবণ উদ্বৃত্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বছরও লবণ চাষের জন্য জমি বাড়ছে।
আবহাওয়া সহ সব কিছু অনুকূলে থাকলে ছাড়িয়ে যাবে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা।
গত বছরের তথ্য মতে, ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রিক টন, যা বাণিজ্যিক লবণ উৎপাদন শুরুর পরবর্তী ৬২ বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড।
এবার তাপমাত্রা অনেকটা বেশি এবং ঝড়–বৃষ্টি না হলে লবণ উৎপাদন ২৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন লবণ চাষিরা।