বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪

চিন্ময়কে নিয়ে সংঘর্ষ, সিইউজে’র নিন্দা

নিহত শিক্ষানবীশ আইনজীবী, হাসপাতালে ভর্তি ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:১১ পিএম

চিন্ময়কে নিয়ে সংঘর্ষ, সিইউজে’র নিন্দা

 

 

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার লালদিঘী এলাকায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে এক আইনজীবী নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিতা ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬ জন। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আদালত ভবনের প্রবেশমুখে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল ছাড়াও আহত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ জন। তবে ১৯ জনের সকলেই আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মান্নান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভরত সনাতনীরা আদালত চত্বরে প্রায় তিনঘণ্টা পুলিশের প্রিজনভ্যান আটকে রাখেন। একপর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং লাঠিচার্জ করে। এরপর তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে রঙ্গম কনভেনশন হলের সামনে অবস্থান নেন। এর মধ্যে আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অনুপস্থিতিতে দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে গুরুতর আহত হন।  

এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল মন্নান বলেন, ‘কেউ মাথায় আঘাত পেয়েছেন, কেউ হাতে, কেউ শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত পেয়ে আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া চার সাংবাদিকের মোটর সাইকেল ভাংচুরের নিন্দা জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে। এই অপ্রীতিকর ঘটনা চলাকালে ফটো সাংবাদিক আবু সাঈদ মোহাম্মদ তামান্না, আকমাল হোসেন, সুমন বাবু ও শ্যামলনন্দীর মোটর সাইকেল ভাংচুর করে আন্দোলনকারীরা। 

এ ঘটনায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, যে কোন ঘটনা কিংবা পরিস্থিতির প্রকৃত তথ্য, ছবি আর ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের জন্য সাংবাদিকদের মাঠে থাকতে হয়। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায়, সাংবাদিক ও তাঁদের ক্যামেরা কিংবা মোটর সাইকেলকে টার্গেটে পরিণত করে একশ্রেণীর লোক। যা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্খিত। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি পেশাগত দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকরা যেন আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু না হয় এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তারা।