বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৫, ২০২৪

সাংবাদিকদের থেকে আইনের হাত অনেক বেশি লম্বা- অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১:১২ পিএম

সাংবাদিকদের থেকে আইনের হাত অনেক বেশি লম্বা- অ্যাটর্নি জেনারেল

কামরুল হাসান, চট্টগ্রাম

 

বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে সাংবাদিক কিংবা অন্য যে কেউ জড়িত থাকুক না কেন, আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। মনে রাখা দরকার সাংবাদিকদের হাত লম্বা, কিন্তু আইনের হাত আরও লম্বা এবং রাষ্ট্রের হাত তার চেয়েও বেশি লম্বা।

 

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

 

তিনি বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠি, বিশেষ মহল ও একটি বিশেষ রাষ্ট্র নতুন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট জন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রেপাগান্ডা চালাচ্ছে।কিন্তু শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের রক্তের বিনিময়ে এই জাতি আবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এভাবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।

 

অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে মিথ্যা মামলা হচ্ছে, এটা অস্বীকার করছি না। তবে, বিগত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের মতো এই মামলা রাষ্ট্র কিংবা পুলিশ করছে না। বরং সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মামলা মানেই গ্রেপ্তার নয়। তদন্ত এবং যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত অপরাধীদের ধরা হবে। আমরা ন্যায়বিচারের দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছি।

 

ইসকনের হামলায় চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা ও সনাতনী জাগরণ জোটের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি বড় ধরনের ষড়যন্ত্রে জড়িত। অভিযোগটা যেহেতু গুরুতর তাই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানসহ ঢাকা থেকে আসা সিনিয়র আইনজীবি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল,বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট বদরুল আনোয়ার লোহাগাড়ায় যান এবং মরহুম এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জেয়ারত করেন।

 

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তবর্তী কমিটির আহবায়ক জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও অন্তবর্তী কমিটির সদস্য গ্লোবাল টেলিভিশনের ব্যূরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, অন্তবর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, এনটিভির ব্যুরো প্রধান শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ, সিএমইউজের সাধারন সম্পাদক সালেহ নোমান ও ওয়াহিদ জামান। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমন্বয়ক ও কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য রাসেল আহমদ। একাত্তর টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ ও শাহনেওয়াজ রিটন।

 

এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারী নুরুল আমীন, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, দক্ষিন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আহবায়ক সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মারুফ রুমী, নাগরিক ঐক্য চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান সমন্বয়কারী নুরুল আফছার মজুমদার স্বপনসহ অন্যান্যরা।